নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং ও অবৈধ সম্পদ অজর্নসহ নানা অভিযোগ উঠেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদ্য চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন রাজউকের এক কর্মচারী। রাজউক কর্মচারীদের পক্ষে মো. মোমিন হোসেন নামের এক কর্মচারী গত ১ মার্চ দুদকে এই অভিযোগটি করেছেন।
দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে বলেছেন, রাউজকের প্রধান প্রকৌশলী দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমের শ্বশুর-শাশুড়িসহ একাধিক আত্মীয়স্বজনের নামে রাজধানীতে জমি ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এছাড়া তিনি মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থ পাচার করেছেন। এছাড়া, পূর্বাচলের ৫ কাঠা প্লট অবৈধ উপায়ে ১০ কাঠায় রূপান্তর করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। আর জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে, শর্ত না মেনে পাঁচজন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে তাকে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দুদকের দাখিলকৃত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পাওয়ার অন্যতম শর্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে তাকে কমপক্ষে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু উজ্জ্বল মলিক ২০১৭ সালের এপ্রিলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব পান। এ পদে তার চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ না হতেই গত বছরের ১০ ডিসেম্বর প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালীকে সরিয়ে উজ্জল মল্লিককে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুধু আবদুল লতিফ হেলালীকেই নয়, রাজউকে উজ্জ্বল মল্লিকের চেয়ে জ্যেষ্ঠ আরো পাঁচজন প্রকৌশলী রয়েছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনে উজ্জ্বল মল্লিককে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন রাজউকের সাবেক দুর্নীতিবাজরা। তবে তার এই দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই রাজউক কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ জন্য গত দুই মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এসব বিষয়ে জানতে গতকাল উজ্জ্বল মল্লিককে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।