মণিরামপুরে ঘরের মধ্যে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ : পরিকল্পিত হত্যা না কি আত্মহত্যা?

সারাদেশ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার উত্তর বাহাদুরপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমানের স্ত্রী চায়না বেগম (৫০)। তবে রাত পোহালেই চায়না বেগমের ডান চোখের অপারেশন হওয়ার কথা ছিল, এরই মধ্যে তিনি চোখের জ্বালা-যন্ত্রণা সইতে না পেরে অবশেষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে থানা পুলিশ চায়না বেগমের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিজের পরিধীয় শাড়ি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেন চায়না বেগম।
মৃত-চায়না বেগমের স্বামী আব্দুর রহমান বলেন, আনুমানিক ১২/১৩ দিন আগে হঠাৎ ডান চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন আমার স্ত্রী চায়না বেগম। এরপর থেকে চোখে মারাত্মক যন্ত্রণা হতে থাকে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েও কোনো কাজ হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে যন্ত্রণার তীব্রতা বাড়তে থাকে। টাকা-পয়সা যোগাড় করে আজ বুধবার যশোরে চোখ অপারেশন করাতে নেওয়ার কথা ছিল। দুপুরের খাবার খেয়ে আমি হাটে যাই। সেখান থেকে খবর পেয়ে বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রী ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।
এই বিষয়ে মণিরামপুর থানার এসআই নাজমুস সাকিব বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে চোখের যন্ত্রণা সইতে না পেরে চায়না বেগম আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত হতে যশোর ২৫০শর্য্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানোর উদ্দেশে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন