নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রযুক্তির জাল থেকে বাঁচতে সামাজিক মাধ্যমে সংঘবদ্ধ হয়ে চলছে ডাকাতি। অনলাইট প্ল্যাটফর্মে গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন একজন। এ কারণে গ্রেফতারের পরও কেউ কাউকে না চেনায় তথ্য পায় না পুলিশ। সম্প্রতি ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তাদেরকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে অপরাধের ধরনেও। ফরেনসিক চিহ্ন আড়াল করতে ডাকাতরা ব্যবহার করছে হ্যান্ড গ্লাভস এবং মাস্ক। মোবাইল ব্যবহার না করে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মের ক্লোজড গ্রুপ।
সিসিটিভির একটি ফুটেজে দেখা যায়, তারা মুখে কাপড় ও হাতে গ্লাভস পরে ডাকাতি অংশ নিচ্ছে। ডাকাতদের ওই দলটি মার্চ মাসের প্রথম দিকে কেরানীগঞ্জের রামকান্দা গ্রামে গ্লাভস ও মাস্ক পড়ে গ্রীল কেটে ডাকাতিতে অংশ নেয়।
পুলিশ বলছে, একসঙ্গে ডাকাতি করলেও গ্রুপের একজনের সঙ্গে পরিচয় নেই অপরজনের। না চেনার কারণে ধরা পড়লেও অন্য সহযোগীদের তথ্য পাওয়া যায় না তাদের কাছে।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলনে, ‘তারা একটি ক্রিমিনাল ফিউজ ব্যবহার করে। কেরানিগঞ্জে যে ডাকাতি হয়েছে এখানে মোট ৯ জন ডাকাতি করেছে। এই ৯ জন দুই গ্রুপে ছিল। এক গ্রুপ কিন্তু আরেক গ্রুপকে চিনে না। এটাই হচ্ছে ক্রিমিনাল ফিউজ। যদি কোনো একটা গ্রুপের একজনে ধরা হয় সর্বোচ্চ ৪ জনের খবর পাওয়া যাবে। কিন্তু সবার খবর পাওয়া যাবে না।’
তবে এসব ডাকাত টাকা পয়সা ও সোনা গয়না নিয়ে গেলেও ধরা পড়ার ভয়ে কারও মোবাইল ফোন নিত না।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘তারা এই কাজে কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্লোজড গ্রুপ ব্যবহার করে। তাদের সমস্ত কথা হয় অনলাইনে।’
দেশের বিভিন্ন থানায় আটককৃত রুবেলে বিরুদ্ধে ৭টি, সোহাগের বিরুদ্ধে ২টি ও সোহেলের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। সোহেল ১৭ বছরে ও সোহাগ ১০ বছরে সাজাপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছে সিআইডি।