নিজস্ব প্রতিনিধি : আসামী রুবেল মিয়া (২৮), পিতা-মৃত সাইম উদ্দিন, সাং-বাগবাড়ী (হানিফ আলীর কলোনী), থানা-কোতয়ালী, জেলা-সিলেট ভিকটিম (১৫), থানা-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জ, বর্তমানে থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-সিলেট এর পূর্ব পরিচিত। গত ০১/০৪/২০২১ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময়ে ভিকটিম তার বর্ণিত বর্তমান ঠিকানার বাসা হতে পার্শ্ববর্তী তার নানার বাড়ীতে পায়ে হেঁটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে বাসা হতে অনুমান ৩০০ গজ দূরে রাস্তার উপর যাওয়া মাত্র আসামী একটি সিএনজি নিয়ে আসে ভিকটিমকে বেড়ানোর কথা বলে ফুসলাইয়া অপহরন করে দক্ষিন সুরমা থানাধীন সিলেট সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন জনৈক গোলাম আলীর কলোনীস্থ একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং তাকে বাড়িতে পৌছে দিবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঐদিন দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ ০২/০৪/২০২১ ইং তারিখ রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময়ে উক্ত স্থানে অবস্থান করে বিবাদী ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তৎসময়ে ভিকটিম শোরচিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং ঐদিন রাতে বিভিন্ন সময়ে আসামী ভিকটিম(১৫) এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষন করে। ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মর্মে ভিকটিমের পিতা বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ পেলে সে ও তার আত্মীয় স্বজন আসামীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করতঃ কৌশল অবলম্বন করে ভিকটিমকে সাথে নিয়ে আসামীকে কুরবানটিলা সাকিনে আসার জন্য বলে। আসামী রুবেল মিয়া ভিকটিমকে সাথে নিয়া কুরবানটিলা সাকিনে আসা মাত্রই ভিকটিমের পিতা আত্মীয় স্বজনের সহযোগীতায় আসামীকে আটক করেন এবং আসামীর কবল হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। এরপর ভিকটিমের নিকট তার পিতা ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ কল করিলে থানা পুলিশ দ্রুত কুরবানটিলা সাকিনে উপস্থিত হয়ে আসামীকে হেফাজতে গ্রহণ পূর্বক থানায় নিয়া আসে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় এসে এজাহার দায়ের করলে এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং-৬, তাং-০৩/০৪/২০২১খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীন/২০০৩) এর ৭/৯(১) রুজু করা হয়।