আজকের দেশ রিপোর্ট : ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ খুলে দেওয়ার অপরাধে শওকত হোসেনকে বদলি করে দিয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় তারা কারা..? এ প্রশ্ন এখন দেশের আপামর জনসাধারণের।
এতদিন যে আলেম, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার খেদমত এবং সহযোগীতায় নিজেকে উজার করে দিয়েছেন মানবিক পুলিশ শওকত ভাই, আজ নিজেদের ধর্মব্যবসায় আঘাত লাগার কারণে আলেমের মুখোশে কিছু ধর্মব্যবসায়ীরা সে শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে করেছে মামলা যে মালার জন্য বদলি হতে হলো মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আলোচিত কনস্টেবল মো. শওকত হোসেনকে এবং বন্ধ করতে বাধ্য হলো অসহায়দের জন্য করা মানবিক ইউনিটটি।
সম্প্রতি নগরীর দেওয়ানহাট এলাকায় একটি মাহফিলে অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখেন আলোচিত মানবিক পুলিশ অফিসার শওকত। সেখানে তিনি বলেন, ‘যখন শুনবেন ভালো বক্তারা আসছে, তখন দৌড়ে ওয়াজ শুনতে চলে আসবেন। আপনি ভণ্ড মুসল্লি। ইসলামের কথা যদি ওনারা আপনাদের মধ্যে ঢুকাতে পারত, তাহলে আমার মতো নগণ্য মানুষ এই চেয়ারে বসতে পারত না। লোকজন সব অলি হয়ে যেত। আপনাদের আশেপাশে অনেক মানুষ আছে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। অথচ আপনারা বড় বড় বক্তা এনে ওয়াজ করাচ্ছেন। মনের কষ্ট থেকে এসব কথা বলছি।’
ভাসমান মানুষদের সেবায় এগিয়ে না এসে ওয়াজ শুনতে আসা শ্রোতাদের নিয়েও সমালোচনা করেন শওকত। তিনি আরো বলেন, ‘সারাদিন ওয়াজ শুনে লাভ নেই, সবাইকে মানবিক হতে হবে।’ সেখানে তিনি আরও কিছু বক্তব্য দেন যেগুলো নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক চলছে।
তার উক্ত মানবিক ও মানবতার পক্ষের বক্তব্যে চুলখাঁনি শুরু হয়েছে শুধুমাত্র ধর্মব্যবসায়ী মহলে আর সে ধর্মব্যবসায়ীদের জিতিয়ে দিয়ে পরাজিত করা হলো মানবতা ও মানবিক শওকত হোসেন সহ ১৬ কোটি মানুষকে। এটি দুঃখজনক ধীক্কার ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই এমন সিন্ধান্তকে।