কাজী আরিফ
আমাদের ঘিরে রেখেছে এক ধূলিময় বাতাস
নিঃশ্বাস নিতে পারিনা । দমবন্ধ হয়ে আসে বারবার।
হাজার বছরের বিষন্নতা নিয়ে বাস করি কোন অচেনা গুহাবন্দী জীবনে ।স্বপ্নের রঙে লাগে ভাইরাসের অযাচিত আক্রমন । আমি চাই বা না চাই অনেক কিছুই ঘটে যায় কোন অদৃশ্য ইশারায়।
আমি ইশারাবন্দী হয়েও কাটাই অনন্তকালের পরিক্রমা।
উদ্দাম বাতাসে মুখ রেখে কত মানুষ কত কি বলে গেল শুনতে হয়ত পেলাম না । শুনিয়ে গেল আশার বানী, শুনিয়ে গেল প্রেমময় বেঁচে থাকার কথা, কর্ষনের কথা, লালিত স্বপ্নের কথা , অথচ ঘুনে ধরার মত আমাদের গ্রাস করে করে রাখল কতশত বিষন্নতা। দুঃখবোধ ।
আমি বুঝিনা , কি করে এমন করে স্বপ্নগুলো মারা যায়।
কি করে এত্তসব আশার বাণী বিফলে চলে গেল। যুগান্তরের পাতায় হারিয়ে গেল কত স্বপ্ন সহচর , কত সখা ।
ভাবতে ভাবতে আমি নদীটার পাশে এসে দাঁড়ালাম ।
নদীটা যেন আমার বুকের সিথানে বয়ে যায় । নদীর তেমন উদ্দাম জোয়ার নেই কিন্ত দুকুল প্লাবিত একটা সুখী সুখী ভাব আছে ।আমার বেশ লাগে নদীটারে । কেমন শান্ত আর সুন্দর। দুপাড়ের ঝুকে পড়া কোন গাছ বা বাঁশের ডগা আলতো করে ছুয়ে যাচ্ছে জলের অগ্রভাগ। আমার ভাবনাগুলো যেন জলের অগ্রভাগ ছুয়ে ছুয়ে কোথায় হারিয়ে যায় টের পাইনা ।
যেমন টের পাইনা নদীর পাড়ের মেয়েটারে ।
মেয়েটা আসলে কোথায় থাকে তাইই জানিনা। একবার ভাবি নদীর পাড়ে থাকে নাকি আকাশের কিনারের পাহাড়ে থাকে।
আমি টের পাই তার পায়ের শব্দ
টের পাই তার হাতে অজস্র গোলাপের ঘ্রান
টের পাই তার পলাশ-শিমুল আর জারুলের সখ্যতা।
ফুলের সাথে তার যে সখ্যতা তার একটু যদি আমার সাথে থাকত তাহলে আমার জীবন কেমন নেবুপাতার সুঘ্রানে ভরে যেতে পারত ,আহা ।
আমি জলজ চোখে নদীটার দিকে তাকাই দেখি ভেসে যাচ্ছে সব, কোথায় কে জানে !!