শরণখোলায় সৎ চাচার অত্যাচারে গৃহবধূ বাড়ি ছাড়া

সারাদেশ

নইন আবু নাঈম, বাগেরহাট : শরণখোলায় সতালো চাচার অত্যাচারে সাদিয়া আক্তার মুন্নি (২৯) নামের এক গৃহবধূ বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে এখন ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। স্বামী মনির হোসেন গাজী থাকেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে । এদিকে বাড়ি না থাকার সুযোগে মুন্নির ঘর চুরি করে নিয়ে যায় সৎ চাচা ও তার লোকজন। এ ব্যপারে রবিবার ৭ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মুন্নি ।
ভুক্তভোগী সাদিয়া আক্তার মুন্নি জানান, উপজেলার মধ্য সোনাতলা গ্রামের মোঃ ফোরকান মল্লিকের মেয়ে ছাদিয়া আক্তার মুন্নি তার বাবার জমির পাশাপাশি জমি কিনে একটি ঘর তুলে দীর্ঘ দিন বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী সতালো চাচা মোশারেফ মল্লিক (৪০) তাকে ওই জমি থেকে উৎখাত করতে বিভিন্ন সময় সড়যন্ত্র করতে থাকে। চাচা ও তার লোকজন বেশ কয়েকবার মারধর এবং লাঞ্চিত করে তাকে। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে মুন্নি পার্শ্ববর্তী ফুফুর বাড়ি অবস্থান করেন। এ সুযোগে গত (৯এপ্রিল) শুক্রবার রাতে তার ঘরের জানালা ভেঙ্গে সব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি চাচা মোশারেফ মল্লিক (৪০), রফিকুল হাওলাদার (৪০), আসাদুল মল্লিক (৩৮), সালমা বেগম (৩৫), হেলাল হাওলাদার (২৩), শহিদুল ইসলাম সাচ্চু (৫৫) ও মঞ্জু বেগম (৪০) কে আসামী করে শরণখোলা থানায় এজাহার দায়ের করেন মুন্নি ।
রোববার দুপুরে এঘটনার সত্যতা জানতে ওই গ্রামে গেলে প্রতিবেশী মোঃ আবু কালাম আকনের স্ত্রী সুখী বেগম, কামরুল ইসলাম বলেন, মুন্নি আসলেই নির্যাতিত। স্বামী দেশে নাই তাই একা পেয়ে তার উপর অনেক হুমকি ও মারধর চালিয়েছে ওর চাচারা ।
চাচা আসাদুল মল্লিকের স্ত্রী রুনা বেগম মারামারির কথা স্বীকার করলেও ঘর চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করেন । এঘটনায় শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, সোনাতলা গ্রামের ঘর চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে ।


বিজ্ঞাপন