নিজাম উদ্দিন : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি গ্রামের কথিত নওমুসলিম (বর্তমান নাম) আবুবকর ছিদ্দিক থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডে।
নওমুসলিমের তকমা গায়ে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যাক্তিকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে নওমুসলিম ফাউন্ডেশনের নামে তোলেন চাঁদা।
গ্রামের সড়লমনা যুবক যুবতিরা এর প্রধান লক্ষ। বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে চাকরী কিংবা পড়াশুনার সুব্যবস্থা করে দেবার নাম করে তাদের ছবি তুলে লেমিনেটিং করে দেখান সমাজের বিত্তবানদেরকে। অত্যন্ত শুকৌশলে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যা মূল লক্ষে ব্যায় না করে, করেন পুঞ্জিভুত ভোগ করেন নিজেই।
তদন্ত সূত্রে জানা যায় এই নুওমুসলিম নামধারি আবুবকর দেশের বিভিন্ন সময় অরাযকতার নাম করে নওমুসলিমের তকমাকে ব্যাবহার করে ত্রানের নাম করে তোলেন চাঁদা। যা অসহায় মানুষের নাম করে তোলেন কিন্তু সম্পুর্ন আদায়কৃ অর্থ ভোগ করেন নিযেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহাম্মদিয়া হাউজিং লিমিটেডে এর বাসিন্দা জনৈক ব্যাক্তি জানান, আবুবকর রোহিঙ্গাদের ত্রান দেবার নাম করে তোলেন বহু টাকা। কিন্তু সম্পুর্ন টাকাই তিনি নিজে আত্মসাৎ করেন। এমন করে গত বছর থেকে বহমান করোনাভাইরাস-১৯ মহামারী কালেও তোলেন বিভিন্ন সময় ত্রানের নামে চাঁদা। আর সেই চাঁদা তুলতে গিয়ে শুক্রবার (১৬/৪/২০২১) দি ডেইলি মিরর নামক( বাংলা) পত্রিকার সম্পাদকঃ ও প্রকাশক মোহাম্মদ তানিম আহমেদের কাছেও যান ত্রান সংগ্রহ করতে।
তানিম আহমেদের ভাষ্যমতে, আবুবকর তার কাছে মহামারী করোনাকালিন সময়ের জন্য ত্রান চাইলে তিনি তা দিতে স্বীকৃতি দেন এবং আবুবকরকে বলেন গিয়ে তার কাছ থেকে ত্রান সামগ্রী আনতে, ফলশ্রুতিতে প্রথেমে তার কাছে না গিয়ে আবুবকর বলেন বিকাশে সামগ্রী পরিমান অর্থ পাঠিয়ে দিতে তখনই তার সন্দেহ হয় এবং বিভিন্ন কৌশলে তিনি কালক্ষেপন করেন এবং ৪ দিন তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শুকবার শ্যামলি সিনেমাহলের কাছ থেকে তার পিছু নিয়ে সিয়া মসজিদের কাছে মোহাম্মদিয়া হাউজিং এর মসজিদের কাছে এলে চতুর আবুবকর কৌশলে তারাবীর নামাজের অজুহাত দেখিয়ে ধর্মিয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে মসজিদের মুসল্লিদের ভিরে মসজিদে ঢুকে অন্য দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
যাবার সময় তার মোটরসাইকেলটি রাস্তার মাঝখানে ফেলে যায়। যা পরবর্তীতে তানিম মোহাম্মদপুর থানার শরণাপন্ন হয়ে পুলিশ হেফাজতে দিয়ে দেন।