মোস্তাফিজুর রহমান : গগনবিদারী আর্তনাদে প্রতিনিয়ত ভারী হচ্ছে পরিবেশ। সামান্য সময়ের বিবর্তনে জিন্দা মানুষ লাশে পরিনত হয়ে নীরব ভীতিসঞ্চার করছে। মৃত্যুর মিছিলে এবার অধিক সংখ্যক আগন্তুক। ভাইরাস তার বিবস্ত্র অবয়বের নিষ্ঠুরতম আচরণের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করেই ফিরে যাচ্ছে অন্যের কাছে। মৃত্যুর পাগলাঘণ্টির আওয়াজে ভীতসন্ত্রস্ত মানবকূল। বেচে থাকার নূন্যতম নিশ্চয়তা অন্তত এই ভারাক্রান্ত পরিবেশে নেই। অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সকলকে। হুশ ফেরাবার সময় নেই মানবজাতির। তাহলে ধরাধাম কি এতটা বিষাক্ত হয়েছে, যেখানে মানুষ নির্দয় আচরণ সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকেই আলিঙ্গন করছে।
মৃত্যু এখন খুব স্বাভাবিক ম্যাসেজ। মৃত্যুর মৌসুম এখন পূর্ণযৌবনা ও ঋতুমতি। ওকে ফেরানো যাবেনা কোন প্রতিষেধকে। জাগতিক পাপাচার আর সামগ্রিক বিষয়ের অপব্যবহারে ধরাধাম যখন অতিষ্ঠ হয় , ঠিক এমন মুহুর্তে প্রকৃতি হিংস্র আচরণ করে থাকে। এটাকে আমরা বালা মসিবত বা গজব বলে থাকি। আসলে এটা পাপাচারের বিরুদ্ধে প্রকৃতির সহিংসতা, যেমনটা মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে চালিয়ে প্রকৃতিতে অতিষ্ঠ করতে বাধ্য হয়েছে। ভাল মন্দের হিসেব মেলানোর জন্য এমন মৃত্যুর মিছিলে আমরা অনেকেই শরিক হচ্ছি।
ক্ষোভের সঞ্চার পরিপূর্ণতা না পাওয়া পর্যন্ত অতিষ্ঠ প্রকৃতি হয়তো তার নির্মম তান্ডব চালিয়ে যাবে। অসুস্থ পৃথিবী হয়তো আবার অচিরেই সুস্থ হবে কিন্তু করোনা ভাইরাস নামক অজ্ঞাত নির্দয় ডামাডোলে যাদের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে হয়েছে,তাদের বিদেহী আত্নার করুন আর্তনাদে কি আমাদের বিবেকের দায়মুক্তি হবে ? এটা পাপাচার কমিয়ে আনার ফিল্টারিং, মনুষ্য সংখ্যায় হয়তো অর্ধেকে নেমে আসবে, যারা বেচে থাকবে, তারা স্বস্তিতেই ধরাধামের পরিচর্যা করবে, সব হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে অচিরেই মানুষ মানুষের জয়গান গাইবে।
আল্লাহ সকলকে সুরক্ষিত রাখুক।