শিশুদের জন্য ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট জাতীয় বাজেটে শিশুদের জন্য ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের শতকরা ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে শিশুদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ছিলো ৬৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সম্পৃক্তির বিচারে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করেছে। জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষ অবস্থানে আছে। মুসলিম বিশ্বে এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো উন্নত দেশগুলো থেকে জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সরকার কার্যক্রম নিয়েছে। একইসঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিকার ও প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদারসহ সব ক্ষেত্রে নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, আগামি অর্থবছরে ৪৪টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের নারীদের জন্য বরাদ্দ সম্বলিত জেন্ডার বাজেট পেশ করা হলো। শিশুদের প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানো সরকারের একটি অগ্রাধিকার। এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। এবারের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর আদায় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর ছাড়া আদায় বা প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট। আর বাংলাদেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর চলতি মেয়াদের প্রথম ও টানা ১১তম বাজেট এবং সব মিলিয়ে ১৯তম বাজেট। এটি সংসদে পাস হবে ৩০ জুন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *