বাজেট প্রত্যাখ্যান গণফোরামের

অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘দলীয়ভাবে বর্তমান বাজেটটিকে আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখান করছি।’ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কামাল হোসেন বলেন, বাজেটের মধ্যে কী ভালো-মন্দ আছে তা জনগণকে জানানো খুবই দরকার। দেশের জনগণ হলো ক্ষমতার মালিক। বাজেট দিয়ে জনগণ সরকারের কাজকর্মকে মূল্যায়ন করতে পারে। তারা অর্থনীতিকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারছে কিনা, জনগণের স্বার্থকে বিবেচনা করা হয়েছে কিনা, অথবা উপেক্ষা করা হয়েছে কিনা তা জানতে পারে। রেজা কিবরিয়ার আমাদের বাজেট পর্যালোচনায় সেটি গভীরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, সংসদে তিনশ জনের মধ্যে যদি বিরোধী দলের দুই জন মেম্বার গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন বলে মনে করেন, তাহলে আপনারা তা করতে পারেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে গণফোরামের সভাপতি বলেন, আমরা চাই, জনগণ সরকারের দুর্নীতির ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে সোচ্চার হবে এবং সরকার পরিবর্তনের জন্য গণতান্ত্রিক উপায়ে যা কিছু করার আছে সবকিছু করবে। গণফোরাম ও বিএনপি বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছে, তাহলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও এই বাজেট প্রত্যাখান করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, অবশ্যই। তারাও প্রত্যাখান করেছে, আমরাও করছি। তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা করবো, আগামীতে কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেটা পরে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই বাজেটকে আমরা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ এটি জনগণের বাজেট নয়। কয়েকটি শক্তিশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর জন্য এই বাজেট দেওয়া হয়েছে। যারা বাজেটটি প্রণয়ন করেছে তাদের দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা নেই। যে শক্তিশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কথা বলা হচ্ছে- তারা কারা জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া বলেন, পাকিস্তান আমলে বলা হতো ২২টি পরিবার। এখন কতগুলো পরিবার আছে জানি না। কিন্তু আমরা যদি ঋণ খেলাপিদের হিসাব দেখি, বিদ্যুৎ সেক্টরের কোনও হিসাবে বোঝা যাবে। সরকার থেকে এইগুলোর কৈফিয়ত একদিন জনগণকে দিতে হবে। সুতরাং সেইগুলো থেকে তাদের নাম আপনার বের করতে পারেন। অনেকগুলো পরিবার এখানে জড়িত থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাজেটে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমাতে হবে। ক্ষমতাধর গোষ্ঠীসমূহকে অসন্তুষ্ট করা হলেও কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বর্তমানে দেশকে যারা লুটেপুটে খাচ্ছে এবং অবৈধভাবে অর্থ বিদেশে পাচার করছে বাজেটটিতে তাদের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষক সংকট মোকাবেলা করছে বলে দাবি করে রেজা কিবরিয়া বলেন, তার মূল কারণ সরকারের অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতা। বাজেটে তার সমাধানে কোনও প্রস্তাবনা নেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *