নিজস্ব প্রতিনিধি : গত শনিবার বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকার এফ ব্লক, রোড নং- ০৩ এর একটি বাসায় তিনজন ব্যক্তি বাসায় প্রবেশ করে নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেয়। উক্ত বাসায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে উল্লেখ করে তাদের নিকট হতে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে । নয়ত থানায় নিয়ে বিভিন্ন মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাসিন্দা মো: লিটন কে আসামীগন মারধর করে। একপর্যায়ে আসামিগন জোরপূর্বক তার আত্মীয়ের বিকাশ নাম্বার হতে গ্রেফতারকৃত রিয়াদের বিকাশ নাম্বারে ৫০০০ টাকা চাঁদা গ্রহণ করে।
পুলিশের পরিচয়ে চাঁদা দাবীর বিষয়টি সংবাদ আসা মাত্রই বাকলিয়া থানা পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ), বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম এর তত্ত্ববধানে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন এর নেতৃত্বে দ্রুত ঘটনাস্থল বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকার ৩নং রোডের মোঃ এম. কায়সারের বিল্ডিংয়ের ৩য় তলার বাসা নং-৩১৮নং বাসায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে ঘটনাস্থল বাসার ভিতর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত ১। মোঃ রিয়াদ করিম (৩১) ২। মোঃ ওসমান (২৮) ৩। মোঃ রায়হান (২০) গনকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মোঃ লিটনের আত্নীয় তানভীরের মোবাইলের বিকাশ এ্যাপসের মাধ্যমে রিয়াদ করিম এর মোবাইলে ৫০০০/- টাকা গ্রহণ করে। বাকি টাকা আদায়ের জন্য লিটনকে আসামীরা চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং লিটনকে চড় থাপ্পড় মারে।
একপযায়ে আসামীদেরকে ভুয়া পুলিশ মনে হইলে অত্যন্ত সু-কৌশলে মোঃ লিটন বাকলিয়া থানা পুলিশ’কে সংবাদ দেয়। ঘটনার সময় ব্যবহৃত রিয়াদ করিমের মোবাইল জব্দ করা হয় এবং বিকাশ এ্যাপসের মাধ্যমে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।