চাঁদাবাজির অর্থসহ হাতেনাতে আটক ১

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মহনগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্ররের মূল হোতা সুলতান আহম্মদ (৪৫)‘কে চাঁদাবাজির অর্থসহ হাতেনাতে আটক করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।


বিজ্ঞাপন

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, জনৈক মোঃ সুলতান আহম্মদ (৪৫) ফ্রি পোর্ট, হালিশহর, কলসী দিঘির পাড়, সিমেন্ট ক্রসিং, মাইলের মাথা এলাকার একজন শীর্ষ চাঁদাবাজ। তার নেতৃত্বে চাঁদাবাজ চক্রটি বিভিন্ন দোকান, ফুটপাত এবং পরিবহন সেক্টর ইত্যাদি থেকে বেশ কিছু দিন যাবৎ চাঁদাবাজি করে আসছে। তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে না পারলে সে ও তার বাহিনী দোকানদারদের দোকান থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দিত। পরিবহন সেক্টরের মাইক্রোবাস, সিএনজি এবং ইজি বাইক চালকদের নিকট থেকে সে মাসোয়ারা ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করত। র‌্যাবের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে আসলে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ১১ মে ২০২১ ইং তারিখ ২১৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর সিমেন্ট ক্রসিং মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে আজিজ মিয়ার মায়ের দোয়া ফুড্স হেভেন দোকানে অভিযান চালিয়ে জনৈক মোঃ নুরনবী (৩৯), পিতা-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হাসেম, সাং- দৌলতমালুমের বাড়ী, থানা- ইপিজেড, চট্টগ্রাম মহানগরীর নিকট থেকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা আদায়ের সাথে সাথে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে দীর্ঘ দিন যাবৎ ইপিজেড থানা এলাকার বিভিন্ন সেক্টর হতে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগে সুলতান চাঁদাবাজির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও চাঁদাবাজির জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। এছাড়াও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার অন্য কোন পেশা না থাকলেও বর্তমানে সে চাঁদাবাজির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে। ঈদের পূর্বে তার গ্রেফতারের সংবাদে ইপিজেড এলাকার দোকানদারসহ পরিবহন সেক্টরে লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করে।

আসামী সুলতানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগীর ইপিজেড থানায় ২০১১ সালে ০১ টি মাদক মামলা এবং ২০১৩ সালে একই থানায় চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সুলতানের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় চাঁদাবাজির একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।