নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদ যাত্রায় ঢাকা ছেড়েছেন ৬৫ লাখ মানুষ। দেশের একটি মোবাইল অপারেটর তাদের তথ্যভান্ডার ও কল প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এ হিসাব জানিয়েছে।
মুঠোফোনের সিম ব্যবহার ধরে তৈরি করা এই হিসাবের আওতায় মুঠোফোন ব্যবহার করেন না, এমন মানুষ ও শিশুরা আসেনি। এক ব্যক্তির একাধিক মুঠোফোন থাকতে পারে। সেটিও এই হিসাবে বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে এই হিসাব থেকে ঢাকা ত্যাগ করা মানুষের সংখ্যা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
এবার ঢাকা ছাড়া মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যাটি গত বছর করোনা ঠেকাতে দেওয়া সাধারণ ছুটির সময়কার তুলনায় কম।
ঢাকায় কত মানুষ বাস করে, তার হালনাগাদ কোনো পরিসংখ্যান নেই। ২০১৬ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) হিসাবে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ। এ জনসংখ্যার একটি বড় অংশ পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় গ্রামে যায়।
এর আগে বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ৪ থেকে ১১ এপ্রিলের একটি হিসাব তুলে ধরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি লেখেন, করোনার সামনের দিনের সম্ভাব্য ভয়ংকরতার কিছু তথ্য তুলে ধরছি। গত ৪ থেকে ১১ মে ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে গেছে ৬০ লাখ ৭২ হাজার ১৭৮ জন। এর মাঝে গ্রামীণের সিম ব্যবহারকারী ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৯২। রবির সিম ব্যবহারকারী ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৩, বাংলালিংকের সিম ব্যবহারকারী ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৩ এবং টেলিটক সিম ব্যবহারকারী ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৩ জন।
এদিকে করোনা মহামারির এই সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপারে রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৬৭৭টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার করেছে। উদ্বোধনের পর ২৩ বছরের মধ্যে এ বছরই সেতু দিয়ে সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে।