নিজস্ব প্রতিনিধি : রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে সুপার শপ লিটল ইন্ডিয়া, আরএম সেন্টার (২য় তলা), প্লট নং ০৫, গুলশান, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ দুধ, মিষ্টিতে ব্যবহার্য সিরাপ পাওয়া যায়। অনেক পণ্যে আমদানিকারক এর কোন স্টিকার পাওয়া যায়নি। পঁচনশীল খাদ্যদ্রব্য যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার কথা তাতে ব্যাপক গড়মিল দেখা যায়! তাদের নিজস্ব পাউরুটি ও বিস্কুট এর প্যাকেটে যেখানে উৎপাদন করা হয়েছে তার ভিন্ন ঠিকানা লেখা। খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদের লেখা ঘষামাজা করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কাঁচা মাছ ও মাংসের বক্সে আগমনের কোন তারিখ দেয়া নাই। এছাড়া চিলারে মাছ, মাংস, অপরিষ্কার ডিম, সবজি, ফল বিশৃঙ্খলভাবে খোলা রাখতে দেখা যায় যাতে ক্রস কন্টামিনেশন সমুহ সম্ভাবনা। এছাড়া কাঁচা খাদ্যের সাথে জড়িত সেলসম্যানদের কারো স্বাস্থ্য সনদ নেই। কিছু খাবার যা ফ্রিজে রাখার কথা তা বাইরে পাওয়া যায়। এ সকল অপরাধে লিটল ইন্ডিয়া সুপার শপ কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য তাৎক্ষণিক বিনষ্ট করে দেয়া হয়।
লিটল ইন্ডিয়া সুপার শপ কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।
অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আব্দুল খালেক মজুমদার, মনিটরিং অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্হিত ছিলেন।