আজকের দেশ রিপোর্ট : ঔষধের এরকম পাতাগুলো দেওয়া হয় ডাক্তারদের স্যাম্পল হিসেবে।এগুলো বিক্রয়ের জন্য নয়। এবং এগুলোর মান ভালো, মান উন্নত। কারণ এগুলো ডাক্তারদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়।
ঔষধের মূল প্যাকেট এমনি হবে।কিন্তু মাঝখানে ঔষধের খাজঁ থাকলেও ঔষধ থাকে না। আমরা অনেকই না জেনে ফার্মেসিতে এরকম দেখি এবং কিনেও থাকি। কোম্পানি বাজারজাত করণের উদ্দেশ্য একই রকম বানায়। যেহেতু স্যাম্পল ঔষধ তাই অর্ধেক পরিমাণ ঔষধ দেয়।
যখন বাজারজাত করবে তখন ৬ পিস ঔষধ ই দিবে। এখন বলতে পারেন ফাকা রাখার দরকার কি? ৩ পিসের পাতা বানালে হয়না? উত্তর হলো – না। আলাদা প্যাকেট বানালে কোম্পানির খরচ বেশি হবে। এভাবে বানালেই কোম্পানির খরচ কম হয়।
প্রশ্ন অন্যখানে। কোম্পানি ডাক্তারদের ঔষধ দিবে কেনো? ডাক্তার নিজে খেয়ে তো আর ঔষধ পরীক্ষা করেনা। তাহলে?
উত্তরটা হলো, ডাক্তার এগুলো ফ্রি স্যাম্পল পায় আর এগুলো রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। বিজনেস অন্যখানে। ধরেন ডাক্তার অসচ্ছল রোগীকে এই ঔষধ ফ্রিতে দিলো। ঔষধের ডোজ রোগ ভেদে ৩/৫/৭ দিন খেতে হয়। এখানে সর্বোচ্চ ১-১.৫ দিনের ঔষধ আছে। বাকি ঔষধ ডিসপেনসারি থেকে রোগীকে কিনে খেতে হবে। এই প্যাকেটটাই তাদের ঔষধের বড় মার্কেটিং করে।
অসাধু ডাক্তারেরা ফ্রি সেম্পলটাই রোগীদের ফ্রি না দিয়ে কমদামে বেচে দেয় আর ফার্মাসী ওয়ালারা এই ফ্রি সেম্পলগুলো কমদামে কিনে আসল ঔষধের সমান দামে বেচে। এতে করে প্রফিট কয়েকগুন বেশি হয়।
এ ধরণের ঔষধ ফার্মাসীর দোকানে দেখলেই ভোক্তা অধিকারে জানিয়ে জরিমানা করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরেই এমন বাজে একটা সিস্টেম চালু আছে। এতে করে গরীব রোগীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবার অসাধু চক্রও বেশি লাভ করে।