শেখ রাজীব হাসান, টঙ্গীঃ পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে জিসিসি’র ৪৭ নং ওয়ার্ড শিলমুন ব্যাপারী পাড়া, মাষ্টার পাড়া ও মোল্লার গ্যারেজ এলাকায়। এতে ঘরবন্দী হয়ে পরে প্রায় দেড় হাজারের অধীক পরিবার। একাধীকবার এবিষয়ে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এবিষয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, জনপ্রতিনিধি ও নেতা কর্মীদের কাছে গিয়ে কোন লাভ হয়নি ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থনীয়দের।
প্রসঙ্গত, স্বল্প বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাসনের ব্যাবস্থা না থাকায় উপরে উল্যেখিত এলাকা গুলোর অসংখ্য বসত বাড়ীতে হাটু থেকে কোমড় পর্যন্ত উচ্চতায় পানি জমা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কোটি টাকার আসবাপত্র। এই এলাকায় বসবাসকারী শ্রমজীবী মানুষগুলো প্রায় অসহায়ের মতোই জীবন যাপন করছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় আটকে পড়া পানির মাধ্যমে বাসা বাড়ীতে মল,মুত্রসহ যোগ, কেচো, বিষধর সাপ ও পোকা মাকড় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ডায়রিয়া, কলেরাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ সকল বয়সের শ্রমজীবী মানুষ। চলাচলের রাস্তায় হাটু থেকে কোমড় পানি হওয়ায় বাজার, ঘাট ও মসজিদ, মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা শ্রমজীবী মানুষ।
জানা যায়, পানি নিষ্কাসনের জন্য শিলমুন এলাকার স্থানীয় জনগনের পক্ষে ১। কাজী মোঃ নুরুল আমিন, ২। মোঃ রফিক উল্লা পাটোয়ারী ও ৩। মোঃ নুরুল ইসলাম গত ২৭শে মে ২০১৮ ইং তারিখে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সওজ) ঢাকা সড়ক সার্কেল এলেন বাড়ী, তেজগাঁও, ঢাকা বরাবর ‘’ টঙ্গী-কালীগঞ্জ- ঘোড়াশাল সড়কের ৩য় কিঃমিঃ অংশে শিলমুন বাজার সংলগ্ন স্থানে সড়কের ডান পাশের পানি নিষ্কাশন এর জন্য বক্স কালভাট/ পাইপ কালভাট নির্মাণের জন্য আবেদন’’ মর্মে আবেদন করলে সওজ পাইপ কাল্ভাট স্থাপন করলেও কালভাট এর মুখ ভরাট করে আকিজ বেকারস নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পর থেকে পুনরায় ড্রেনেজ ব্যাবস্থা বিকল হয়ে গেছে। বর্তমানে পাইপ কালভাটে ড্রেন প্রতিষ্ঠানের ভিতরে থাকায় তার তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, দ্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকায় এলাকায় প্রতিবারের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ঘরের ভিতরে থাকা ফ্রিজ, খাট, আলমারি, পড়ার টেবিলসহ ভাড়াটিয়াদের সকল আসবাপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। চার বছর যাবত এমনি ভাবে দিন কাটাচ্ছি। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিকল্প ব্যাবস্থা করার জন্য বহুবার জানালেও তিনি এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিভিন্ন পত্র, পত্রিকায় ও মিডিয়ার মাধ্যমে মেয়র সাহেবকে অনুরোধ করে বলেছি দয়া করে আমাদের এই ভোগান্তি থেকে মুক্ত করেন। আমরা বাচতে চাই। জলাবদ্ধতায় আমরা খাবার জন্য পানিটাও গ্রহন করতে পারছি না। নর্দমার পানিতে আমরা দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। আমাদের বাচান।
স্থানীয়রা আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এতো দিন পেরিয়ে গেলেও আমাদের ভোগান্তি যেন দিন দিন আরোও বেড়ে যাচ্ছে। মেয়র এলাকা পরিদর্শন করে যদি মনে করেন আমরা উনার পরিছন্ন নগরীতে সুখে আছি তবে আমাদের চাওয়ার কিছুই থাকবেনা।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সাদেক আলী বলেন, যে সকল জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সেসকল জায়গায় রাস্তা ও ড্রেনের কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের দ্বারা চলমান আছে।
তবে, স্থানীয়রা দাবি করছেন বর্তমানে যে জলাবদ্ধতা রয়েছে তার সাথে চলমান কাজের কোন যোগ সুত্র নেই কারণ চলমান কাজ সমূহের রাস্তা ও ড্রেন জলাবদ্ধ জায়গা গুলো থেকে অনেক উচু।