ক্যারিয়ার নিয়ে যুদ্ধ

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : বরাবরই প্রত্যেক জুটিতে কোন একজন এগিয়ে থাকে অনেক বেশি। যে কোনো জনপ্রিয় জুটিতে দুইজনেই সমান থাকে খুবই কম।


বিজ্ঞাপন

আর জুটি বলতে মূলত আমরা একজন নায়ক ও একজন নায়িকা যুক্ত হয়ে একাধিক জনপ্রিয় কাজ করাকেই বুঝি।

তবে এর বাহিরেও আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নায়ক-ভিলেন জুটি রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মান্না- ডিপজল জুটি।

৯০ দশকের শেষদিকে গড়ে উঠেছিল এই ব্যতিক্রমধর্মী জনপ্রিয় জুটিটা।

স্বাভাবিকভাবেই এর কিছুদিন পরে নানা তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে এই জুটিতে কার অবদান বেশি এবং জনপ্রিয়তাতে কে বেশি এগিয়ে!

যদিও মান্না ও ডিপজল উভয়ই তাদেরকে বেশি জনপ্রিয় মনে করতেন। যার ফলশ্রুতিতে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং বলতে গেলে অঘোষিতভাবে তারা একসাথে কাজ করাও কমিয়ে দেয়।

এক্ষেত্রে দু’জনেই আলাদাভাবেও কয়েকটি হিট সিনেমা যেমন উপহার দেন তেমনি ফ্লপ সিনেমাও উপহার দেন। ‘৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত ডিপজল ছাড়া মান্না জুম্মান কসাই,সুলতান,রাজা নাম্বার ওয়ানের মত সফল সিনেমা উপহার দেন।

তেমনি ডিপজলও মান্না ছাড়া ভয়ংকর বিষু,নয়া কসাই,বিপদজনক,মগের মুল্লুকের মত হিট সিনেমা উপহার দেন। আবার একই দিনে দু’জনেই আলাদা সিনেমা নিয়ে মুখোমুখি হয়ে ফ্লপের শিকারও হন।

তবে তাদের দু’জনের মধ্যেই এই শীতল দ্বন্দ্বটা মাত্র দুই থেকে আড়াই বছরের মত সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর মান্না তার সফল অবস্থানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেও ডিপজল বলতে গেলে মুখ থুবড়েই পড়ে।

এর অন্যতম কারন ডিপজলের অপ্রত্যাশিত ক্রেজটা! যে কোনো তারকা হঠাৎ করেই বা ধরেই ক্রেজ অর্জন করলে তা অল্প সময়ের মধ্যেই ধপ করে কমে যায় কিংবা পড়ে যায়।

কারন এসব ক্রেজ অনেকটা হুজুগের মত কাজ করে। যতদিন এই ক্রেজের ক্ষমতা থাকে ততোদিনই তারকার ভাল অবস্থা যায়। যেমনটি ডিপজলের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল।

তাই হঠাৎ করেই অবিশ্বাস্য রকমের ক্রেজ পাওয়া ভিলেন ডিপজল হঠাৎ করেই আড়াই বছরের মধ্যে নিভে যায়। অথচ চরিত্র ও অভিনয়ের শক্তি দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলা নায়ক মান্না ‘৯৮-০৮ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তার সাফল্যের বৈঠা শক্তভাবেই ধরে রাখতে পেরেছিল।

যেটা ভিলেন হিসেবে ক্রেজ অর্জন করা ডিপজল ‘০১ সালের পর আর ধরে রাখতে পারেনি।