মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে পাঠানো মেসেজের ভিত্তিতে ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি : পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক শিক্ষার্থী করোনাকালে আনএভয়ডেবল কিছু পরিস্থিতির কারনে যথা সময়ে পরীক্ষার ফরম ফিল-আপ করতে পারেনি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ফরম ফিল-আপ করার তার আর কোনো উপায়ও ছিল না। এই পরিস্থিতিতে কলেজের অধ্যক্ষ বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে বিষয়টি বোঝানোরও কোনো সুযোগ ছিল না তার।
পড়াশোনা আর হলো না এই ভেবে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে সেই ছাত্রটি। এমন সময়, কারো পরামর্শে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং-কে তার অসহায়ত্ব ও যে পরিস্থিতির কারনে যথাসময়ে ফরম ফিল-আপ করতে পারেনি তা জানিয়ে সহযোগিতা চেয়ে একটি বার্তা প্রেরণ করে। বিষয়টি স্বাভাবিক পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ নয়। তবু, মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তার বার্তাটি পড়ে তার সাথে যোগাযোগ করে এবং বুঝতে পারে ছাত্রটি একটি পরিস্থিতির শিকার। তাই, এই বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করার জন্য পিরোজপুর সদর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদলকে বার্তাটি পাঠিয়ে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ছাত্রটির পরিস্থিতি তার নিকট তুলে ধরে কোনো উপায় থাকলে ছাত্রটিকে পরীক্ষার ফরম ফিল-আপের বিষয়ে সহযোগিতা করতে নির্দেশনা দেয়।
পুলিশের অনুরোধে এবং ছাত্রের পরিস্থিতি ও অপারগতার কারন বিবেচনায় নিয়ে অধ্যক্ষ সাহেব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর একটি আবেদন গ্রহন করতে সম্মত হন। তবে, বাস্তবতা হলো, নির্ধারিত সময়ের পরে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করে না। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাহেবেরও কিছু করার নেই। এ পর্যায়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের শের-ই-বাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুনশীকে নির্দেশনা দেয় উক্ত এলাকায় অবস্থিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে আনতে। ওসি শের-ই-বাংলা নগর থানা বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে আনেন। পুলিশের উপস্থাপনায় উক্ত ছাত্রের পরিস্থিতি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ আবেদনটি মানবিক কারনে গ্রহন করে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, বোর্ড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের পর কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো বার্তাকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করবে না বাংলাদেশ পুলিশ।