নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্তের অভিযানে তুরাগ নদীতে থাকা প্রভাবশালীদের বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর উচ্ছেদ না করার অভিযোগ উঠেছে বিআইডব্লিউটিএর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একই দাগে তাদের স্থাপনা গুড়িয়ে দিলেও টাকার বিনিময়ে সংস্থাটি প্রভাবশালীদের স্থাপনা উচ্ছেদ করেনি। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, তারা পুনরায় জরিপ করে এসব স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, দখলদার কিংবা তার সহায়তাকারী যেই হোক, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।
ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম তুরাগ। যেটি উত্তরা আশুলিয়া ও টঙ্গির মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে। এ বছরের শুরুর দিকে এ নদীর দুই পাশেই বেশ জোরালোভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, উচ্ছেদের সময় সীমানা পিলার থেকে ৩০০ ফুট দূর পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হলেও নদীর জায়গায় থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটিসহ বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা রেখে যায় সংস্থাটি। সীমানা ম্যাপেও দেখা যায়, কামারপাড়া সেতুর আগে টঙ্গিপাড়ে নদীর জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে হামিম গ্রুপের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও তার পাশেই আনন্দ শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যানের ভবন। একই সঙ্গে সেতুটির অপর পাশে আশুলিয়াপাড়ে নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে আইইউবিএটি।
স্থানীয়রা বলছেন, বিআইডব্লিউটিএর সার্ভেয়ারদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে এসব অনিয়ম করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএও বলছে, তারা সার্ভেয়ারদের দেখানো জায়গাই উচ্ছেদ করছে। এছাড়া আদালতের কিছু নিষেধাজ্ঞার কারণেও কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে দাবি তাদের।
বিআইডব্লিউটিএর বন্দর পরিচালক মো. শফিকুল হক বলেন, এগুলো যদি নদীর ভেতরে থাকে তবে সামনে আরও অভিযানের মাধ্যমে এগুলোকে উচ্ছেদ করা হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জায়গাগুলোকে কিভাবে দখলদারমুক্ত করতে হয় তা আমরা জানি।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এখনও পর্যন্ত ঢাকার চারপাশে প্রায় চার হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। যা স্বাধীনতার পর থেকে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় অভিযান। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বিশাল অভিযানে যেকোনো অজুহাত দিয়ে যদি শেষ পর্যন্ত নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এ ধরণের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হয়, তাহলে এ বিশাল সফলতা নিয়ে সাধারণ জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2019/06/newsbengali24-311.jpg)