নিজস্ব প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার রবিরবাজারে রানারদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেছেন জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস, জাতীয় এথলেট ও অন লাইন রানিং কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) সাদরুল আহমেদ খান।
শনিবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৫ টায় পৃথিমপাশা ইউনিয়নের নভেল একাডেমি স্কুল মিলনায়তনে রবিরবাজার রানার কমিউনিটির রানারদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নতুন জুতো পেয়ে খুদে রানারদের মাঝে উচ্ছ্বাস আর খেলোয়াড়দের মাঝে বাড়তি আনন্দ যোগ হয়।
রবিরবাজার রানার্স কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান এডমিন মিজান রাহমান এর সঞ্চালনায় ও রবিরবাজার ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ও রানার্স কমিউনিটির এডভাইজার সাইদুল ইসলাম শাহিন এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তরুণ রানার্সদের উৎসাহ দিয়ে বক্তব্য রাখে সাদরুল আহমেদ খান পলিট।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শতাব্দী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপ এর সহসভাপতি বাবুল আহমদ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সেলিম খান, সংস্কৃতি কর্মী ও সংগঠক ফয়জুল হক। অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওমর খান, রানার্স কমিউনিটির এডমিন জায়েদ হাসান, মিজানুর রহমান, জনাব কামাল খান, রুমন খান সহ আরও অনেকে।
সাদরুল আহমেদ খান জানান রবিরবাজারে একটি হেরিটেজ রান আয়োজন করা সম্ভব।
ক্রস কান্ট্রি রান হিসেবে রবিরবাজার অনন্য। এ এলাকার ইতিহাস সুপ্রাচিন। ১৫শ শতাব্দিতে পারশ্য( ইরান) থেকে নবাবদের আগমন ঘটে। মোঘল সাম্রাজ্যের আস্থাবাজন হন ” লংলার নবাব” হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন মাউলানা মাহমুদ রবি। তার নাম অনুযায়ী হয় রবির বাজার।
জমিদার বাড়ির ইতিহাসও অনন্য। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের সময় বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার ও খাজানা জমিদার বাড়িতে রাখে ও দূর্গ গঠন করে যদিও তা টেকেনি।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিখ্যাত “লুসাই এক্সপাডিশন” হয় এই জমিদার বাড়ি থেকেই। তাই এ জনপদ হতে পারে হেরিটেজ রানের প্রথম পছন্দ।
তিনি আরও বলেন, রবির বাজার এলাকারসাথে তার আবেগ জড়িত। তার বাবা মরহুম আব্দুল লতিফ খান তরুন বয়সের অনেক সময় এ-ই এলাকায় অতিবাহিত করেছিলেন। নবাব আলী সরদফ খান রাজা সাহেবের সান্নিধ্যে ছিলেন।
তিনি বলেন আমাদের বাবা চাচারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে তরুন বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছেন৷ এসময় তিনি মুন্তাকিম চৌধুরী, জুবেদ চৌধুরী, জয়নাল আবেদিন, আব্দুল জব্বার, মিয়া ঠাকুর, আব্দুল মুকিম, লুৎফর রহমান, আছকির আলী, মমরূজ বক্স, সৈয়দ জামাল প্রমুখ মুক্তি পাগল নেতাদের বীরত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আজকের তরুন হিসেবে আমাদেরকেও বাবা চাচাদের মতো এগিয়ে আসতে হবে, সেই প্রেরণা থেকেই আজকের এ-ই ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণের প্রচেষ্টা, তৃণমূল পর্যায়ের রানার্সদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এ রানিংসু বিতরন করা ।
আজকের নবীন রানার ভবিষ্যতে এ ধারা পুনরাবৃত্তি করবে, এভাবেই সমাজ এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য যে, রান ফর হেলথ ও নো স্মোক নো ড্রাগস এই থিমকে সামনে রেখে বিগত ২৬ শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করার পর থেকে নিয়মিত রানিং কার্যক্রম চালিয়ে আসছে রবিরবাজার রানার্স কমিউনিটি।