শেরপুর নৃশংস হত্যা মামলার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সূত্রঃ নালিতাবাড়ী থানার মামলা নং- ০১ তারিখ ০৩/৯/২০২০ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড। ভিকটিম মৃত উসমান আলী (২৫) এর বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানাধীন বড়ডুবি গ্রামে। তাহার বসত ঘর হতে কিছুটা দূরে ৫টি বড় দামী গরু রাখার একটি ছোট খামার/গোয়াল ঘর আছে। গোয়াল ঘরের চারিপাশে হাটুপরিমান পানি থাকায় সে রাতে গোয়ালঘরে ঘুমাতো। ব্র্যাকের মাধ্যমে সে ব্যাংক হতে এক লক্ষ টাকা ঋৃন নেয়। টাকা তোলার ৩দিন পর বসতঘর মেরামত করাইতেছিলেন বিধায় সে টাকা লুঙ্গির কোচে রাখিয়া গত ১৬/৭/২০২০ তারিখ রাত অনুমান ২০.০০ ঘটিকার সময় গোয়ালঘরে ছিল। তাহার বাড়ি সংলগ্ন নিজ গ্রামের আসামি ১! মোঃ মিষ্টার আলী (৩৩) এবং ১! মোঃ রাকিব (২০) টাকার খবর জানিতে পারে। তাহারা গোয়াল ঘরে ঢুকিয়া টাকা নেওয়ার চেষ্টাকালে আসামি রাকিব হাতুড়ি দিয়ে উসমানের মাথায় আঘাত করে। উসমান নিস্তেজ হয়ে মারা যাওয়ায় লাশ গোয়ালঘর সংলগ্ন পানিতে ফেলে দেয় এবং উসমানের নিকট থাকা ষাট হাজার টাকা নিয়ে যায়। উসমানের ভাই লাশ দেখিতে পেয়ে মনে করেন কারেন্টে ধরেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাঃ মৃত ঘোষনা করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া তাড়াহুড়া করে লাশ নিয়ে আসে। আসামি পক্ষের লোকজন বিভিন্ন কৌশলে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করে ফেলতে সহায়তা করে।
পরবর্তীতে ঘটনা কিছুটা প্রকাশ পেলে মৃত উসমানের বড় ভাই মোঃ অছিমউদ্দিন (৩৮) বাদী হয়ে আসামি ১! মোঃ মিষ্টার আলী, ২! মোঃ রাকিব এবং মিষ্টার আলীর ভাই ৩! মোঃ ছিদ্দিক (৩৫) ও রাকিব এর পিতা ৪! মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৫) দের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করিলে থানায় রেকর্ড হয় এবং লাশ কবর হতে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করেন। ময়না তদন্ত রিপোর্টে ডাঃ মৃত্যুর কারন উল্লেখ করেন ” মাথায় আঘাতজনিত কারনে মৃত্যু হয়েছে ” যাহা হমিসাইডাল।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ শামীম হোসেন সংগীয় অফিসার ফোর্স সহ টেকনোলজির মাধ্যমে ১ নং এজাহারনামীয় মূল আসামি ১! মোঃ মিষ্টার আলীকে গতকাল ২৬/৬/২০২১ তারিখ ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করেন।


বিজ্ঞাপন

২৭/৬/২০২১ তারিখে আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামির কারোক্তিমূলক জবানবন্দি ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করেছেন। জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।