পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাহসী সিদ্ধান্ত

জাতীয়

আজকের দেশ ডেস্ক : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এ দেশেরই যে গোষ্ঠী হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ নানা অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল, এ দেশের মাটিতে একদিন তাদের বিচার হবে, এটা যেন অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেছিল।


বিজ্ঞাপন

যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল, মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিল।

এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি এই বিচার ও রায় বাস্তবায়ন না করতে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন।

বহু প্রভাবশালী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর না করতে শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করা হয়।

এর পরও পিছু হটেননি তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন করে জাতিকে দায়মুক্ত করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতেও নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন শেখ হাসিনা।

নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। খুনিদের বিচার ও রায় কার্যকর করে যাচ্ছেন।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাহসী সিদ্ধান্ত ও দৃঢ়তার অসাধারণ নজির। দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায়।

এরপর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে দেশ ও বিদেশের বহু বিশেষজ্ঞ মতামত দেন। কিন্তু শেখ হাসিনা লক্ষ্যে অবিচল থেকে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।

এ ঘটনা বিশ্বব্যাংকের মতো প্রভাবশালী একটি সংস্থার জন্য চপেটাঘাত স্বরূপ।

বিএনপি জোটের অংশগ্রহণবিহীন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা শেখ হাসিনার আরেকটি দৃঢ় সিদ্ধান্তের নজির।

এই নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং পরবর্তী সময়ে সরকার গঠন নিয়ে অনেকেই নানা আশঙ্কা জানালেও শেখ হাসিনা নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকেন।

শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারণ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের বাসা থেকে সরিয়ে দেওয়া, ঢাকার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্তগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।

শেখ হাসিনার আমলেই আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে।