জ্বর ও এন্টিবায়োটিক

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা (৯৭-৯৯°ফা.)থেকে বেশী হলে(সাধারণত১০০.৪°ফা.) তাকে আমরা জ্বর(Fever) বলি।আমাদের শরীরের তিন স্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে জ্বর হলো ২য় প্রতিরক্ষা স্তরের সর্বশেষ ধাপ।কমমাত্রার জ্বর(১০১°ফা.) আমাদের জন্য উপকারী।কারণ এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতিকর রোগজীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করে তোলে।জ্বরের অনেক কারণের একটি হলো ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ।এই ধরণের জ্বরেই সাধারণত এন্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে।ভাইরাসজনিত জ্বরে আমরা সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকি।এই জ্বর ৭-১০ দিনের ভিতর আপনাআপনি সেড়ে যায়। প্যারাসিটামলেই যথেষ্ট, এন্টিবায়োটিকের ভূমিকা নেই।সেজন্য ৭ দিন পর্যন্ত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক এন্টিবায়োটিক গ্রহণ ও সঠিক ডোজ গ্রহণ।এজন্য রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের( MBBS) পরামর্শ গ্রহণ জরুরী ।সাধারণত এন্টিবায়োটিকগুলোর ডোজ ৫-১০ দিন(৭দিন)হয়ে থাকে।সঠিকভাবে ডোজ সম্পূর্ণ না করার কারণে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে।দাম বেশী হওয়ার কারণে অনেকেই ২-৩ দিন ওষুধ খেয়ে একটু সুস্থ হলে বাকি ডোজ সম্পূর্ণ করি না।এটা মোটেই ঠিক নয়।এজন্য পরবর্তীতে ঐ এন্টিবায়োটিক ঐ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে না।


বিজ্ঞাপন

আসুন আমরা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক এন্টিবায়োটিক, সঠিক ডোজে গ্রহণ করি।