কামরাঙীরচরে করোনা বিপর্যস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানী কামরাঙ্গীরচরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে লালবাগ জোনের ডিসি বিপ্লব কুমার মজুমদারের পরামর্শে কামরাঙ্গীরচরে করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের প্রতি খাবার বিতরণ করা হয়। যৎসামান্য, খাবার গ্রহণ করে হতদরিদ্র মানুষের চোখেমুখে যে তৃপ্তির ঢেঁকুর প্রবাহিত হয়েছে। এতে আবেগাপ্লুত পুলিশ কর্মকর্তাগণ।


বিজ্ঞাপন

সোমবার (১২ জুলাই) সকালে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি ও কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ছিন্নমূল,পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত, দিনমজুর, অসহায় নাগরিকের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করা হয়। এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ৫৫ ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নূরে আলম চৌধুরী।

জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও দীর্ঘদিন সরকারি নির্দেশ মোতাবেক লকডাউন ও কঠোর লকডাউন চলমান থাকায় সারাদেশের মতো কামরাঙ্গীরচরের হতদরিদ্র মানুষেরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম হয়ে যায় বন্ধ। ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা, দোকানপাট, কর্মস্থল ইত্যাদি অধিকাংশ মানুষের করোনায় বিপর্যয়ের কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

জীবন-জীবিকা স্থবির হাওয়ায় তারা হয়ে পড়েন একেবারে দিশেহারা। এ অবস্থা বিবেচনা করে লালবাগ জোনের উদ্যোগে পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মনস্থির করেন লালবাগ পুলিশ। পুলিশের সাধ্য অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচরের বিপর্যস্ত মানুষের প্রতি খাবার বিতরণ করেন লালবাগ পুলিশ।

সচেতন মহলের মতে, রাজধানীর এ বিপুল সংখ্যক জনবসতি এলাকায় অধিকাংশ নিম্নবিত্ত বসবাসকারী কামরাঙ্গীরচর থানায় হয়তোবা, আজ পুলিশের এ উদ্যোগ একেবারেই অপ্রতুল। তবুও তারা করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের প্রতি আজকে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অনেকের জন্যই অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা আশাকরি, এভাবে পুলিশ তাদের এ কার্যক্রম রাখবেন চলমান। পাশাপাশি, বিত্তবানরাও স্বেচ্ছায় এ মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।

ত্রাণ গ্রহণকারীরা কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বাবারে, এ প্যাকেটে হয়তো আমাগো পেটের জ্বালা মিটবনা। কিন্তু পুলিশ স্যারেরা যে ভালোবাসা দিয়া আমাগো খাবারের প্যাকেটটা দিছে। আমরা অল্প খাইলেও আমাগো মনে অনেক শান্তি অইব। এতদিন জানতাম পুলিশের মনে কোনো দয়ামায়া নাই। কিন্তু আজ জানলাম পুলিশরাও মানুষ, তাদের মাঝেও মানবতা আছে।

তারা জানান, এভাবে যদি আমাগো পুলিশ স্যারেরা ভবিষ্যতে আমাগোরে আরো বেশি বেশি করে খাবার দেন। তাহলে আমরা আরো খুশি হমু। তবে পুলিশগোর প্রতি আমাগোর একটি অনুরোধ তারা যেন আমাগোরে রাস্তায় কাজকর্ম করার একটু সুযোগ করে দেন। আমরা তাগোরে কথা দিচ্ছি, স্বাস্থ্যবিধি মাই নাই আমরা রাস্তায় কাজকর্ম করমু।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা, সচেতন নাগরিক ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।