রৌমারীতে সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায় শাহীদা

অপরাধ

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারীর শাহীদা (২৫) সন্তানের পিতার পরিচয়ের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে.। শাহীদা উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিন ধরা গ্রামের সোহরাফ হোসেনের মেয়ে। দুই বছর বয়সে বাবা নিরুদ্দেশ হলে মা মোনোয়ারা সংসারের হাল ধরেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় – শাহিদা ঢাকায় ছিলেন তার শ্বামী আজিজুলের সাথে বনিবনা না হওয়ায় একবছরের বেশী সময় ধরে মায়ের সাথে গ্রামে আছেন। প্রায় মাস তিনেক আগে ১৬ই মার্চ শাহিদা একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।

এতদিন বিষয়টি চাপা থাকলেও গত ০৬-০৬-২১ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেন নবজাতকের পিতৃ পরিচয় নিয়ে? দফায় দফায় স্থানীয় মাতব্বর , সাংবাদিক সহ অনেকে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করলেও ঘটনার কোন সঠিক সুরাহা হয়নি ।

ভুক্তভুগী শাহীদা ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন – তার এই সর্বনাশ করেছে জাইদুল ইসলাম (সবুজ) কিন্তু কোন সবুজ তার বাড়ী কই এই প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পরে যান। তিনি আরও বলেন প্রায়ই জোর করে ঘরে ঢুকে আমার উপর নির্জাতন চালানো হত ঘরের লাইট জ্বালাতে না দেয়ায় তাদের চিনতে পারি নাই।

শাহিদার মা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জায় ,অপমানে, মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি, প্রকাশ্যে এবং ফোন করে অকথ্য ভাষায় প্রতিনিয়ত গালিগালাজ এবং প্রাননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে আমাদের, আবার সমস্যা সমাধান করে দিতে একটা পক্ষ চেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন আমার মেয়েকে চাপ দিয়ে মানুষিক ভাবে অসুস্থ করে ফেলা হয়েছে ভয়ে আমার মেয়ে তাদের নাম বলার সাহস পাচ্ছে না, আমরা এই সমাজে সুস্থ ভাবে বাচতে চাই।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ভুক্তভুগীর এক ঘনিষ্ট আত্নীয় প্রতিবেদককে জানান যেহেতু এই বাড়িতে কোন ছেলে মানুষ থাকেন না তাই একটি চক্রের পরিকল্পিত ফঁাদে পড়েছেন তারা, এবং এই ঘটনার সপক্ষে তিনি কতগুলি ফোন রিকর্ড ও প্রমান হাজির করেন এবং দাবি করেন এই ক্লু ধরে পুরো ঘটনার জট খোলা সহজ হবে।

এ ঘটনায় ওই তরুণীর সঙ্গে এমন অমানবিক ও বিকৃত যৌনাচারের কারণ এবং তা অনুষন্ধান করে কার্যকর ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।