খ্যাতিমান পরিচালক দীলিপ বিশ্বাসের ১৫ তম প্রায়ণ দিবস

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলাদেশের খ্যাতিমান পরিচালক দিলীপ বিশ্বাসের ১৫ তম প্রয়াণ দিবস আজ।২০০৬ সালের ১২ জুলাই ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একাধারে একজন প্রযোজক, পরিবেশক, লেখক, অভিনেতা ও গায়ক।


বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা এই গুণী পরিচালক ১৯৪২ সালের ৪ ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলার চাঁদকাঠি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।

ঢাকাই চলচ্চিত্রে দিলীপ বিশ্বাসের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের প্রবাদ পুরুষ প্রয়াত জহির রায়হানের বেহুলা ছবিতে প্লে ব্যাকের মাধ্যমে।পরবর্তীতে তিনি আনোয়ারা, মোমের আলো, দুই ভাই, আলোমতি, সন্তান ও চেনা অচেনা ছবির গানে কন্ঠ দিয়ে ছিলেন।এরপর তিনি হাবুর বিয়ে,স্বীকৃতি, সমাধান, বিনিময়, আদর্শ ছাপাখানা, এখনই সময়, জোকার, সুরুজ মিয়া প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে সুখ্যাতি অর্জন করেন।পরে ঝুঁকে পড়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালনার দিকে।প্রথমে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করলেও সত্তর দশকের মাঝামাঝিতে বানিজ্যিক সফল সমাধি ছবিটি পরিচালনার মাধ্যমে পূর্ণ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।এরপর একে একে নির্মাণ করেন দাবী, বন্ধু, আসামী, অনুরোধ, জিঞ্জির, আনারকলি, অংশীদার, অপমান, অস্বীকার, অপেক্ষা, অকৃতজ্ঞ, অজান্তের মত ব্যবসা সফল ছবিগুলো।তিনি অবশেষে নির্মাণ করেন মায়ের মর্যাদা ছবিটি যা ২০০৬ সালে মুক্তি পায়।

এক সময় তিনি স্ত্রী গায়ত্রী বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন চিত্রগীতি নামে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।এখান থেকে তিনি দাবী, অংশীদার, অপমান, অস্বীকার, অপেক্ষা, অকৃতজ্ঞ, অজান্তে, মায়ের মর্যাদা ছবিগুলো নির্মাণ করেন।এছাড়া তিনি এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে পুত্র দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ছবিটিও প্রযোজনা করেন।

দিলীপ বিশ্বাস ঢালিউডের পাশাপাশি টলিউডেও নির্মাণ করেন আমার মা, আমাদের সংসার এবং অকৃতজ্ঞ নামে তিনটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র।

দিলীপ বিশ্বাসকে এক সময় বলা হতো ঢাকাই চলচ্চিত্রের সামাজিক ছবির মাস্টার মেকার।বড় বাজেটে নামীদামী জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে জমজমাট নাটকীয় কাহিনীর বানিজ্যিক ঘরনার ছবি নির্মাণে নিজস্ব একটি ধারা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।চলচ্চিত্রের অমর এই কারিগরের সৃষ্টি ও তাঁর কীর্তি এখনো সবার কাছে অমলিন।

কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দিলীপ বিশ্বাস অপেক্ষা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে এবং অজান্তে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

আজ এই গুণী পরিচালকের প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।