রিভিউ ওয়েব সিরিজ মরীচিকা

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদক : অভিনয়ে সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো, জোভান, মাহিয়া মাহি, ফারজানা রিক্তা, এ কে আজাদ সেতু সহ আরও অনেকে। পরিচালনা করছেন সিহাব শাহিন।


বিজ্ঞাপন

এই সিরিজটির ৮ টি পর্ব। যার প্রিতিটি পর্বের নাম আছে যথাক্রমেঃ- বেওয়ারিশ লাশ, পিচ্ছিল সিড়ি, বাবু ভাই, কানা গলি, বাগানবাড়ী, প্রত্যক্ষদর্শী, ফেরার পথ নেই ও পাপচক্র। এর প্রতিটি পর্বের গল্পের সাথে মিল রেখেই পর্বের নামকরন করা হয়েছে।

ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পরে সবাই ভাবছিলো এটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে মডেল হত্যাকে কেন্দ্র করে বানানো হয়েছে। তবে আপনি পুরো সিরিজটি দেখলে তাই মনে হবে। তবে সিরিজের গল্পটি এত বড় না করে আরেকটু ছোট করলে ভালো হতো।

গল্পের শুরুতে দেখা যায় একটি গাড়ী থেকে লাশ নদীতে ফেলানো হয়। আর সেই অচেনা লাশটিকে কেন্দ্র করেই সিরিজটির প্রতিটি পর্ব এগিয়ে চলে। এখানে কিছু অসৎ পুলিশ অফিসার ও রাজনৈতিক নামের নোংরা মানুষের আসল রুপকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এবং একজন সৎ পুলিশ অফিসার এর জীবন সারনী দেখানো হয়েছে। তিনি তার জীবনে বউ, বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে খুনিকে মানুষের সামনে এনেছেন। সব ঘটনা জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে পুরো সিরিজটি।

সিয়াম আজাদকে দেখা গেছে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার হিসাবে। তার চরিত্রের নাম শাকিল। সিয়াম আহমেদ নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয়ের কোনো কমতি ছিলো না। তাকে হাসতে দেখেছি, রাগ দেখাতে দেখেছি, কান্না করতেও দেখেছি। সব মিলিয়ে সে বরাবরের মতোই অনেক ভালো অভিনয় করেছেন। তার একটা কথা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। কথাটি হলো ‘ আপনি পুলিশ বাহিনীর সদস্য না? পুলিশের মতো কথা বলুন..’!

আফরান নিশো কে দেখা গেছে একজন কুল ভিলেন হিসেবে। তার চরিত্রের নাম সালাম শরীফ ওরপে বাবু । আফরান নিশো কে ভিলেন হিসেবে দারুন মানায়। শুনছি তার পছন্দের মানুষ হুমায়ুন ফরিদী স্যার। তার জায়গা টা ভবিষ্যতে নিশো ধরে রাখতে পারবে।তাকে এই সিরিজে সবসময় সিগারেট হাতে দেখা গিয়েছে। তার অভিনয়ের কোনো ঘাটতি ছিলো না। ভবিষ্যতে তাকে এমন রুপে আরও দেখতে চায় দর্শক।

জোভান কে দেখা গেছে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে। তার চরিত্রের নাম জুয়েল। এবং মডেল বন্নীর স্বামী এই জুয়েল। জোভান এর অভিনয় তেমন একটু খাপছাড়া খাপছাড়া লেগেছিলো আমার কাছে। আরেকটু উন্নতি করতে পারতো। কারন সবাই অভিনয়ে অনেক উন্নতি করেছে। তবুও বলবো তার ভূমিকায় সে ভালোই চেষ্টা করেছে। আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভালো চেষ্টা করবে।

মাহিয়া মাহি কে দেখা গেছে একজন মডেল হিসেবে। যার চরিত্রের নাম বন্নী। তাকে কেন্দ্র করেই এই ওয়েব সিরিজ টির গল্প এগিয়ে চলে। তার অভিনয় দারুন ছিলো। সে নিজেকে নানা ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই সিরিজে। তার গ্যালামার্স ফুটে উঠেছে এই সিরিজে। তার অভিনয় কখনো তেমন একটা ভালো লাগেনি।

ওভার এক্টিং বেশি করতো ( আমার মতে)। তবে এই সিরিজে সে দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। তার এই উন্নতি টা ধরে রাখতে পারলেই হবে।

ফারজানা রিক্তা কে দেখা গেছে শাকিলের এর বউ এর চরিত্রে। তার ভুমিকা এই সিরিজে তেমন একটা নেই বললেই চলে। তবে যতটুকু তাকে সিরিজে দেখানো হয়েছে। ততটুই সে তার সেরাটা দিয়ে অভিনয় করেছে।

এ কে আজাদ সেতু কে দেখা গেছে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার হিসাবে। শাকিল তার শালী কে বিয়ে করেনি বলে সে শাকিল কে সহ্য করতে পারতো না। সবসময় শাকিলের পিছনে লেগে থাকতো। তার অভিনয় ও ভালো ছিলো।

আরও অনেকে অভিনয় করেছেন চুমকি, নরেশ ভূইয়া, আবদুল্লাহ রানা সবাই যার যার জায়গায় খুব ভালো অভিনয় করেছেন।