শেরেবাংলা নগরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা হতে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী উজ্জল ও তার সহযোগী’কে বিদেশি পিস্তল সহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।


বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রধারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ১২ জুলাই, তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ম্যাগাজিন, ১ রাউন্ড গুলিসহ রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার নিম্নোক্ত অস্ত্রধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় গ্রেফতার কৃত রা যথাক্রমে,

(ক) মোঃ মাসফিকুর রহমান উজ্জল (৩৬), জেলা- কুমিল্লা।
(খ) মোঃ লিংকন হোসেন হিরন (৩০), জেলা- কিশোরগঞ্জ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জলের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় হুমকি, চাদাবাজি এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে।

সে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন তালতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।

সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল, মন্দির ও গণপূর্তের জমি দখল, চাঁদাবাজি, চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া, মাদক ব্যবসা, জুয়ার কারবার প্রভৃতি অপরাধের সাথে সে জড়িত। এলাকায় নতুন কোন ভবনের কাজ শুরু হলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমান চাঁদা দিতে হতো; অন্যথায় সে তার ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দিতো।

গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জল সরকারী খাস জমি ও অন্যের মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখল করে অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে তা ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমান ভাড়া আদায় করতো।

তার সহযোগীরা তার প্রত্যক্ষ মদদে আগারগাঁও এলাকার ফুটপাতের প্রত্যেক দোকান হতে দৈনিক চাঁদা তুলে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করতো।

আসামী মূলত অস্ত্রধারী হওয়ায় এবং এলাকায় তার নিজস্ব মোটরসাইকেল ক্যাডার বাহিনী থাকায় সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে সাহস করতো না এবং কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখাতো ও মারপিট করতো। তার অত্যাচারে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষ সর্বদা অতিষ্ঠ ও ভীতসন্ত্রস্থ।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত অন্য আসামী হিরনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং উজ্জলের সকল অপর্কমের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় উজ্জল ও তার ক্যাডার বাহিনীর এরুপ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সচিত্র ও ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।