পারিশ্রমিক দিতে অনীহা, নীলফামারী পুলিশের আইনি সহযোগিতা

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : পারিশ্রমিক দিতে অনীহা। চাইতে গেলে দিনমজুরসহ তার মাকে মারপিট। নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক কিশোরগঞ্জ থানা, নীলফামারী পুলিশের আইনি সহযোগিতা প্রদান।


বিজ্ঞাপন

বাদীনি (ছদ্মনাম) মোছাঃ মাহির নেছা (৫২),স্বামী মৃতঃ (ছদ্মনাম) কামাল হোসেন,গ্রামঃ মুসা নয়া টারী,থানাঃ কিশোরগঞ্জ,জেলাঃ নীলফামারী।


বিজ্ঞাপন

উক্ত নারী (১৩ জুলাই/২০২১) তারিখ ছেঁড়া কাপড় চোপড় ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন সহ হাউমাউ করে কাঁদতে-কাঁদতে কিশোরগঞ্জ থানা,নীলফামারীতে উপস্থিত হয়ে নারী,শিশু,বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক এর কর্তব্যরত নারী অফিসারের নিকট গ্রাম্য ভাষায় বলেন ” মাও হামাক বাঁচাও তোমরা। তাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তারা তো আমাদের মারিয়া ফেলিবে” আমি তাকে আমার কাছে বসিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম চাচী কি হয়েছে? আপনি আমাকে সবকিছু বলেন আমরা কিশোরগঞ্জ থানা, পুলিশ আপনার পাশে আছি।

তখন তিনি কাঁদতে-কাঁদতে বলতে লাগলেন বিবাদী (১)আব্দুল আউয়াল (৪০), (২) খুলাল হোসেন ভন্ড (৪৫),(৩)ফাত্তার (৩৫), একটু ব্যক্তিদের প্রত্যেকের গ্রামঃ মুসা নয়াটারী,থানাঃ কিশোরগঞ্জ,জেলাঃ নীলফামারী। সবাই (ছদ্মনাম) মোছাঃ মাহির নেছা এর প্রতিবেশী।

ঘটনার সূত্রপাতঃ

(ছদ্মনাম) মোছাঃ মাহির নেছার ছেলে (ছদ্মনাম) আমিনুর ইসলাম,গত ১৫দিন আগে বিবাদী আব্দুল আউয়াল (৪০) এর বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে এবং কাজ শেষে মজুরি টাকা না দিয়ে আজ দেবো, কাল দেবো,করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। ঘটনার দিন গত (১০ জুলাই/২০২১) তারিখ সকাল ৭ ঘটিকার সময় আব্দুল আউয়াল (৪০) গালি-গালা সহ বিবাদীরা (ছদ্মনাম) মোছাঃ মাহির নেছার ছেলে (ছদ্মনাম) আমিনুর ইসলামকে মারপিট করে ছেলের চিৎকারে তিনি সেখানে গেলে তিনি সহ তার ছেলেকে ফুলা রক্তাক্ত ভাবে জখম করে ।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নারী,শিশু,বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে কর্তব্যরত অফিসার বিষয়টি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে অফিসার ইনচার্জ,কিশোরগঞ্জ থানা নীলফামারী কে অবহিত করেন।

অফিসার ইনচার্জ থানায় কর্মরত এএসআই গৌতম বর্মনকে ঘটনাস্থলে দ্রুত প্রেরণ করেন।