মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে পাঠানো মেসেজের ভিত্তিতে ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি : এরশাদ শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড। বাড়ির পাশেই মোবাইল মেরামতের ছোট্ট একটি দোকান রয়েছে তার। এই আয় দিয়েই চলে তার সংসার। তার দাবী, সম্প্রতি তার দোকান থেকে চাঁদা দাবী করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে দোকান খুলতে দেয়া হবে না। চাঁদা না দেয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধও করে দেয়া হয় তার দোকান। এমন পরিস্থিতিতে, সে তার অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হাটহাজারী থেকে কোনো এক সচেতন ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে জানায় এ বিষয়টি। ভিডিওটি হাটহাজারী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে পাঠিয়ে তদন্ত করে ভিকটিম যুবক এরশাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। এর প্রেক্ষিতে, ওসি হাটহাজারী তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাস্থল বার্মা কলোনী, ওবায়দুল্লাহ নগর, মির্জাপুর ইউনিয়ন, হাটহাজারী থানা। এলাকাটি মূলত রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এলাকায় দু’টি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব ছিল। শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড যুবক এরশাদকে একটি পক্ষ ব্যবহার করেছে এবং সেই পক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী অপর পক্ষকে চাপে ফেলতে ইচ্ছা করেই দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দাবী রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি , কথিত উভয় পক্ষের লোকজন ও স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তথাপি, এরশাদকে সাথে নিয়ে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে তার দোকান খুলে দিয়েছে পুলিশ এবং ভবিষ্যতে তার যে কোনো বৈধ ব্যবসায় বা কাজে কেউ বাধা দিলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে উপস্থিত সকলকে জানানো হয়। এরশাদের ব্যবসা চালু রাখা ও চাঁদাবাজি সহ যে কোনো প্রকার বাধার ক্ষেত্রে তার পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।