বিশেষ প্রতিবেদক : এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে।

জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি শিশু অপরহরণকারী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।

গত ২৬ জুলাই, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ২৪ জুলাই, আনুমানিক সকাল ১১ টায় সময় ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন এলাকা থেকে ১১ বছরের শিশু স্বপ্না খাতুন অপহৃত হয়।
উক্ত ঘটনার দুই দিন পর অপহরকারী চক্র মোবাইল ফোনে শিশুটির পিতা-মাতার নিকট মুক্তিপণ দাবী করে এবং মুক্তিপন না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছিলো। এরুপ ঘটনায় প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল বুধবার ২৮ জুলাই, সকাল ৬ টা হতে বিকাল ৪ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সাভার মডেল থানাধীন এলাকায় অপহৃত শিশু স্বপ্না খাতুনকে উদ্ধারপূর্বক নিম্নোক্ত ১ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়,
(ক) মোঃ মোছাদ্দেক আলম (২৯), জেলা- দিনাজপুর।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে গত ২৪ জুলাই, সাভার মডেল থানাধীন পলো মার্কেটের সামনে হতে অপহরণ করে।
পরবর্তীতে সে ভুক্তভোগীকে ট্রাক যোগে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিয়ে আটকিয়ে রাখে এবং ভিকটিমের পিতা-মাতার নিকট মুক্তিপণ দাবি করে।
পরবর্তীতে সে পুনরায় ট্রাকযোগে সাভার এলাকায় চলে আসে এবং তখনই র্যাব-৪ কর্তৃক ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করাসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরুপ অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোরালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।