নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পণ্য বিপণনের মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, বিদেশের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশাল বাজারে প্রবেশ করছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এ প্রতিযোগিতায় দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহায়তা দেয়া হবে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন এবং মার্কেটিং শিক্ষক ও পেশাজীবীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। শিল্পমন্ত্রী বলেন, সময় এখন বাংলাদেশের। দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। তিনি এ সময় পণ্যের মান বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পণ্যের নিম্নমান ও ভেজাল এক জিনিস নয়। দেশীয় পণ্যের ওপর মানুষের আস্থা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সে বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করে বলেন, দেশীয় পণ্যের ওপর মানুষ আস্থাহীন হলে বিদেশি পণ্য বাজার দখল করে নিতে পারে। এতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ড. মীজানুর রহমান বলেন, পণ্য ও মার্কেটিং সম্পর্কে মানুষের ধারণা অনেক বদলে গেছে। থিওরি ও অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে মার্কেটিংয়ে সফল হওয়া সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিপণন খাতে সংশ্লিষ্টদের খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের তাগিদ দেন ড. মীজানুর রহমান। অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায় শাখার অন্যতম শাখা বিপণন। এ খাতে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন ঘটছে বিপণন কৌশল। তাই সংশ্লিষ্টদের বাজারের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা জরুরি। এ অনুষ্ঠান (মার্কেটিং ডে) দেশের বিপণন খাতে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য বড় উদযাপন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি বলেন, বলা হয়, মার্কেটিং খাতে লাখ লাখ লোক জড়িত। কিন্তু আমি মনে করি, এ সংখ্যা কোটির ওপরে। কেননা চায়ের দোকানদার থেকে শুরু করে বড় কোম্পানির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এর সঙ্গে জড়িত থাকেন। এজন্য এ খাতে কাজ করতে হলে জ্ঞান থাকলে হবে না, সঙ্গে দক্ষতারও সমন্বয় ঘটাতে হবে। অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডনিসিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার, দ্বিতীয় বাংলাদেশ মার্কেটিং দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. শরিফুল ইসলাম দুলু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ ইকবাল, ইগলু গ্রুপ-এর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা এম কামরুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনেক বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কেটিংয়ে সুনামের সাথে কাজ করছেন। মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে এ পেশাকে ভালবাসতে হবে। যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। আয়োজক পরিষদের সদস্য সচিব ড. শরিফুল ইসলাম দুলু বলেন, বিপণনের জায়গাটি অনেক বড়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যম এবং কৌশল পরিবর্তন হচ্ছে। মার্কেটিং ডে উদযাপনের মাধ্যমে মার্কেটার ইনস্টিটিউট একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। সব জেলায় বিপণন পেশাজীবী শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘মার্কেটার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।