ব্রেকিং ব্র্যাড ও বাংলাদেশে নতুন মাদক আইসের আগমন

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রেকিং ব্যাড সিরিজের প্রধান চরিত্র হলেন ওয়াল্টার হোয়াইট। পেশায় রসায়নের শিক্ষক। বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে। রাসায়নিক দ্রব্যাদি, রাসায়নিক যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ে খেলা করে তিনি মানসিকভাবে তৃপ্ত হন। যারা রসায়ন পড়েছেন কিংবা অন্তত যারা টুকটাক ধারণা রাখেন তারা হয়তো জানবেন রাসায়নিক উপাদানগুলো বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যায়। অর্থাৎ একই জিনিস পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের বিক্রিয়ার মাধ্যমে। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন তাপ, ভিন্ন চাপ, ভিন্ন প্রভাবক উপাদান দিয়ে একই জিনিস বের করে আনা যায়। জনাব হোয়াইট এই কাজে খুবই পারদর্শী। প্রচলিত ফর্মুলাকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব ফর্মুলাতে মূল্যবান উপাদান তৈরি করা তার কাছে ছেলেখেলা।
কোকেইন, মেথেমফেটামাইন ইত্যাদি অনেক নেশাজাতীয় দ্রব্য আছে। বলে না দিলেও হবে, এদের প্রায় সবগুলোকেই রাসায়নিক উপায়ে প্রস্তুত করতে হয়। ওয়াল্টার হোয়াইট একজন ভালো মনের মানুষ। কখনো মাদক সেবন করেন না। কিন্তু হঠাৎই পঞ্চাশ বছর বয়সে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে যেয়ে ক্রিস্টাস মেথ তৈরির সাথে যুক্ত হয়ে যান।
রসায়ন শাস্ত্রে উপাদানের বিশুদ্ধতা বলে একটা বিষয় আছে। যেমন পানি, আমরা যে পানি পান করি তা শতভাগ বিশুদ্ধ নয়। এতে নানা ধরনের উপাদান মিশ্রিত আছে। মিনারেল ওয়াটার নামে যে পানিগুলো বোতলজাত আকারে পাওয়া যায় সেগুলো কিছুটা ভালো। রসায়নের ল্যাবরেটরিতে এক্সপেরিমেন্টের জন্য ডিসটিল্ড ওয়াটার নামে এক বিশেষ পানি ব্যবহার করা হয়। এই পানিতে H₂O ছাড়া বাকি যা আছে সব ছেকে ফেলা হয়। সে হিসেবে এই পানি ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ। বাকি যত পানি আছে তা এর নীচে।
মাদকদ্রব্যের বেলাতেও এই কথা প্রযোজ্য। যে মাদক যত বিশুদ্ধ হবে তার তৃপ্তিদানের ক্ষমতা তত বেশি হবে, তত নিখুঁত হবে। রসায়নের জিনিয়াস জনাব হোয়াইট যখন মাদক রাজ্যে প্রবেশ করলেন তখন নিজের ফর্মুলায় আইস তৈরি করতে লাগলেন। বাজারে প্রচলিত আইস যেখানে শতকরা ৬০ ভাগ বিশুদ্ধ সেখানে তার ফর্মুলায় তৈরি আইস ৯৬ ভাগ বিশুদ্ধ। আইস তৈরিতে সিউডোএফিড্রিন এর পরিবর্তে ব্যবহার করেন ফিনইথাইলঅ্যামিন। পুরো মাদক রাজ্যে আলাদা এক ফ্লেভার চলে এলো। ক’দিনের মাঝেই এটি হয়ে গেল আলাদা এক ব্র্যান্ড।
যেহেতু এই ফর্মুলা তার নিজস্ব, তাই অন্য কেউই এটি প্রস্তুত করতে পারে না। ফলে চারদিকে বাড়তে থাকে শত্রু। এই ব্যক্তিকে সরিয়ে দিতে পারলে পরিষ্কার হয়ে যাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে ব্যবসার কাটা। আবার এখানে কথাও আছে। যেহেতু তার বানানো পণ্য সবার সেরা, তার মানে তাকে হাত করতে পারলে পাওয়া যাবে লাভজনক এক রাজ্য। এক অংশ তাকে শেষ করতে চায় আরেক অংশ তাকে পেতে চায়। লেগে যায় অদৃশ্য যুদ্ধ। বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের কথা তো মনে আছে। আমেরিকা যখন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠায় তখন সোভিয়েত ইউনিয়নও আরো শক্তিশালী নৌ-বহর পাঠিয়ে দেয়। দুটিই নিউক্লিয়ার সজ্জায় সজ্জিত। বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের বিষয় নিয়ে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ বেধে যাচ্ছিল আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের।
এখানেও এমনই ব্যাপার। অল্প অল্প করে ঘটনা এমন অবস্থায় যেতে থাকে যে চোখ তুলে তাকাবার সময় হয় না। কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেড়িয়ে আসে সাপ। সাপ খুড়তে গেলে দেখা যায় বেরিয়ে আসছে কুমির। এতটুকুতেই সফল একটা সিরিজ হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু না। কুমির বের হতেই চলে আসে আরো বড় দানব। একটু একটু করে বিশাল থেকে বিশালতর হতে থাকে কাহিনী। প্রত্যেকটা পর্ব টানটান উত্তেজনায় পরিপূর্ণ।
এমন সিরিজ মনে হয় আর কখনো হয়নি। প্রথম সিজনটা চমৎকার হয়েছে, দ্বিতীয়টা আরো চমৎকার হয়েছে, তৃতীয়টা এর চেয়েও চমৎকার হয়েছে, চতুর্থটা তৃতীয়টার চেয়েও চমৎকার হয়েছে, পঞ্চমটা ছাড়িয়ে গেছে চতুর্থটাকে। সামগ্রিক সিজন তো ভালো হয়েছেই, পাশাপাশি ৬২ টি পর্বের প্রত্যকটি ভালো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

আপাত অসম্ভব কাজগুলো করাতে সাধারণত সুপারহিরো ধাঁচের চরিত্রের প্রয়োজন হয়। এই সিরিজে এমন অনেক বিষয় আছে সেগুলো সাধারণ মানুষ করতে পারবে না। সুপারহিরোর পক্ষেই শুধু এ ধরনের কর্মকাণ্ড করা। কিন্তু জনাব হোয়াইট তার মেধা ব্যবহার করে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এসব কাজ করে দেখিয়েছেন। তিনি সিক্স প্যাক সম্পন্ন কোনো পুরুষ কিংবা হ্যান্ডসাম কোনো নায়ক নন। পড়তি বয়সের এক আধবুড়ো। তার মাধ্যমে যে যে সুপারহিরোয়িক, সুপারঅসাম কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে তার কোনো জবাব নেই।
কেউ যখন জিনিয়াস হয়, অনেক দিক থেকেই হয়। তিনিও তা। রসায়নই শুধু নয়, অন্যান্য বিষয়গুলোও ঠাণ্ডা মাথায় সুচারুভাবে সামাল দিতে ওস্তাদ তিনি। কখনো মাদকের সাথে জড়িত না থেকেও কীভাবে ড্রাগ লিডার হিসেবে সকলকে লিড করতে হয় তিনি তা সহজেই আয়ত্ব করে নেন। কীভাবে কোন পথে গেলে তার শত্রু নাশ হবে তিনি তা খুবই ভালো বুঝতে পারেন। কীভাবে কার কাছে গেলে তার সমস্যার সমাধান হবে তা বের করতে তার সময় লাগে না। কীভাবে উদ্ভূত বিপদকে সামাল দেয়া যাবে এবং সামলিয়ে উৎরে আসা যাবে তা তার চেয়ে কেউ ভালো জানে না।
এ গেলো পুরো সিরিজের মাত্র একটি চরিত্র। সমগ্র সিরিজ নিয়ে ভালোভাবে লিখতে গেলে মাস ফুরিয়ে যাবে। সিরিজের অন্যান্য চরিত্রগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে নিয়েও আলাদা করে প্রবন্ধ লেখা যাবে। যেমন জনাব হোয়াইটের কাজের সহকারী জেসি পিংকম্যান, স্ত্রী স্কাইলার হোয়াইট, শ্যালিকার স্বামী শ্রেডার, আইনগত সহায়তাকারী সল গুডম্যান, মাদক সম্রাট গুস্তাভো ফ্রিং, সকল কাজের কাজী মাইক আরমেনট্রাউট ইত্যাদি অনেকে। সব দিক মিলিয়ে ইতিহাসের অন্যতম সেরা এক সিরিজ হলো এই ব্রেকিং ব্যাড।
বাংলাদেশে আইসের আগমন ব্রেকিং ব্যাড সিরিজের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়। হাসিব মুয়াজ্জার রশিদের ছোট বেলা থেকেই আমার বিভিন্ন ইংলিশ সিরিয়াল দেখতে ভাল লাগত, বিশেষ করে থ্রিলার, ক্রাইম টাইপ কিছু হলে তো কথাই নেই। এই যেমন ধরুন নারকোস, ব্রেকিং ব্যাড, প্রিজন ব্রেক এ জাতীয়। নিজেকে নায়ক ভেবে তার মতো হতে পারলে মন্দ কি? ২০১০ সালে মালয়শিয়াতে ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশনের ১ম বর্ষ শেষে, পেয়ে যায় বেশ লম্বা ছুটি। এবার দেশে যাওয়া হচ্ছে না। তাই সময় কাটানোর জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করতে করতে পেয়ে যায় ব্রেকিং ব্যাড নামক সিরিয়ালটা। রিভিউগুলো পড়ে মনে হয় ভালই হবে। তার উপর দেখে সিরিয়ালটা বেশকিছু পুরষ্কারও পেয়েছে। দেখা শুরু করল একের পর এক এপিসোড।
সিরিজটা শেষ করার পর থেকেই রসায়ন শাস্ত্রের প্রতি কেমন যেন একটা আকর্ষন বোধ করতে লাগল। বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও বাঁশি ভালই বাজাত। মালয়েশিয়াতে এসে নটিংহাম ভার্সিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝে বাঁশি বাজাত। হঠাৎই একদিন এক বন্ধুর মাধ্যমে লোকাল একটা ক্লোস ডোর পার্টিতে আমন্ত্রণ পায় সে। বাঁশি বাজাতে হবে-সাথে পাওয়া যাবে ফ্রি খাওয়া-দাওয়া ও বাড়তি কিছু টাকা। সেখানেই প্রথম নিজ চোখে আইস দেখে। এরকম ফিটকারির মতো একটা জিনিস যে মাদক হতে পারে তা তার চিন্তাতেই আসে নাই। সিরিজে দেখা আইস ও বাস্তবে দেখা আইস তার আগ্রহের জন্ম দেয়।
এরকম কিছু পার্টিতে যেতে যেতে- সেই সূত্রেই নতুন এক কাজের অফার পায়। ল্যাবে সপ্তাহে দুই দিন টানা কাজ করতে হবে আর বিনিময়ে পাওয়া যাবে রিংগিট। কাজের দিন নির্দিষ্ট একটা জায়গা থেকে আমাকে গাড়ীতে নেয়া হয়। শহর থেকে মোটামুটি দূরে নির্জন জায়গায় ল্যাবটি। বেশিকিছু যন্ত্রপাতি নেই। তবে রসায়ন শাস্ত্র সম্পর্কিত কাজ যে হবে তা একটা ঘরে ঢুকেই অনুমান করা যায়। তার কাজ হলো আমার বস যা বলবে তাই করা। এই যেমন এটার সাথে এটা মিশাও, এইটা গুড়া কর এইসব আর কি। বেশী দিন লাগলো না বুঝতে যে আসলে সে কি তৈরি করছি। আইস-ব্রেকিং ব‍্যাডের ক্রিস্টাল মেথ। তাকে নিয়োগ দেয়ার কারণ সে এখানে বিদেশী। কোন কিছু বলতে পারবে না এবং তার বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞান। যাই হোক আইস তৈরির কাজটা সে সেখানেই শেখে। সাথে সাথে সেবনটাও। ২০১৫ সালে পড়ালেখা শেষ না করেই সে দেশে চলে আসে। দেশে ফিরেই তার অদ্ভুত কিছু আচরণ পরিবারের সবার মনেই সন্দেহ জাগে তার মাদকে আসক্তির বিষয়ে। বাবা প্রকৌশলী ও মা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। চার ভাই বোন অন্য সবাই প্রকৌশলী অথবা চিকিৎসক।
২০১৫ সাল, বাংলাদেশে তখন ইয়াবার ব্যাপক চাহিদা। তার কিছু বন্ধু-বান্ধব, ভাই-ব্রাদার যারা বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে একটু একটু আছে আইসের চাহিদা। ব্যস, জিগাতলার ৭/এ নম্বর সড়কের ৬২ নং বাসার বেসমেন্টে তৈরি করল সে আইস ল্যাব। প্রথম ব্যাচের আইস তৈরি করে নিজস্ব বন্ধু-বান্ধবকে দিল। তারা তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধুমাত্র নিজ গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নতুন ক্রেতা তৈরি করতে চাইলো সে। ক্রেতা তৈরির জন্য ইয়াবার খুচরা ব্যবসায়ীদের নিয়োগ করেন। রাকিব উদ্দিন, জাকারিয়া ও হেলাল হোসেন অরফে সাদ্দামকে দিতে থাকলো ১০ (দশ) গ্রাম করে আইস। কিছুদিনের মধ্যে ৮ (আট) গ্রাম আইসসহ তারা আটক হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে। তার নিয়োগ করা লোকদের তথ্যমতেই ২৬ শে ফ্রেবুয়ারি ২০১৯ তারিখে তার ল্যাবে অভিযান পরিচালনা হয় । ল্যাব থেকে উদ্ধার করা হয় আইস তৈরির ১৩ ধরনের কেমিক্যাল, কাঁচামাল সিউডো ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। হাসিব পলাতক থাকে কিছুদিন কিন্তু এর কয়েক দিন পরই ১৬ মার্চ মিরপুর থেকে গ্রেফতার হয় হাসিব। ২০০২ সালে শফিকুল ইসলাম জুয়েল যেমন বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবার আসামী। তেমনি ২০১৯ সালে প্রথম আইস মামলার আসামি হল এই হাসিব।
এতদিনে আইসের বাজারটা মোটামুটি ভালোই হয়েছিল। হাসিবের ল্যাব অর্থ্যাৎ মাদক জগতে বড়দার ল্যাব বন্ধ হওয়ায় পর পরই বাংলাদেশে ব্যবসার উদ্দেশ্য সরাসরি এয়ার যোগে বাইরে থেকে আসতে শুরু করে আইস। এরপর ২৭ শে জুন ২০১৯ তারিখে নাইজেরীয় নাগরিক আজাহ আনাত্তুচাওয়াকে বিক্রির সময় প্রায় ৬৩০ গ্রাম আইসসহ হাতে-নাতে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা টীম। যা সে থাইল্যান্ড নিয়ে এসেছিল মর্মে তথ্য পাত্তয়া যায়। এরপর ঢাকার গেন্ডারিয়া, ডেমরা, নিউমার্কেট, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পরিমাণে আইসসহ গ্রেফতার হতে থাকে এক এক করে খুচরা ব্যবসায়ীরা। ২৫ ফ্রেবুয়ারি ২০২১ তারিখ র‍্যাব শফিউল আজম ও মোঃ ইয়াসির রানাকে ১৪০ গ্রাম আইসসহ চট্রগ্রামে গ্রেফতার করে। তখনই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ধারণা হয়, এবার চালানটা মায়ানমার থেকে আসছে। সোর্স নিয়োগ হয় কক্সবাজার জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাক্গুলোতে। তাদের ধারণাটা সঠিক হয়। ৪ মার্চ ২০২১ তারিখে দুই কেজি আইসসহ আবদুল্লাহকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে টেকনাফ গোলচত্ত্বরে বিজিবি চেকেপোস্টে ১৬৭ গ্রাম, ৫ মে ২০২১ তারিখে জাদিমুরা রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে নূর মোহাম্মদ নামক এক রোহিঙ্গা ১০০ গ্রাম আইসসহ গ্রেফতার হন। এদিকে ১৮ জুন ২০২১ তারিখে উওরা থেকে র‍্যাব শুভ্রের কিচেন মানে আইস তৈরির ল্যাব, ১৩ টি বিদেশী অস্ত্রসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে পিরোজপুর জেলা থেকে ১০০ গ্রাম আইসসহ গ্রেফতার হয় মো: মাসুম খান রাজ। আর এভাবেই বাংলাদেশে আইস আগমন এবং আর শুরু হয় বিস্তৃতি।