যুগল ইসলাম
একদিনের গোধূলি লগ্ন হৃদয়কে বেশ নাড়া দিবে
তা যে মনে করতে বেশ আবেগ আপ্লূত দেহ ভেবে,
নদী বহে স্রোতের জল প্রবাহের মতো!
পেছনের স্মৃতি এখনো নিঃশব্দে খুব কষ্ট বেদনায় রবে।
ধলেশ্বরী নদীর তীর! মনে পড়লো সেদিনের কথা
বিকেল বিষন্ন কুহেলি কাব্য মেলা অপরুপ সেজেছে যথা,
এলোমেলো ভাবনার কূল প্রান্ত স্পর্শের দেয়াল ছোঁয়া হয়নি
তবে গোধূলির রঙে রাঙানো রঙধনু আমার নিমগ্ন ব্যাথা।
সব কিছু হারিয়ে গিয়েছে সেই যে গোধূলির মায়াবী দানবের জালে,
পরম যতনে এমন আবেগ হয়নি তো গোধূলির আকাশে নীল নীলিমায় চাঁদের ঢলে,
নেশায় অচেতন জগতের রক্তিম আকাশে
এক পসরা নেশার ঘোরে বুকে চাপা ক্ষোভে হাহাকার ছিলো বাতাসে।
সূর্য মামা উঁকি দেয় যাবো যে চলো! তবে গোধূলির গোধূল কিঞ্চিৎ জোৎসনা ক্ষনিককাল,
চুপে চুপে ভুলে গেছি ভালোবাসার সেই ভোরের নিস্তব্ধতায় সূর্য সকাল।
শ্রাবণের বিকেল কথা বলে সন্ধ্যার রঙিন গোধূলির বেলাতে
কোন একদিন এসেছে মোর আলোর আধার নৈঋতে।
প্রভাত দুপুর পেরিয়ে বিকেলের নিভু নিভু উচ্ছ্বাস
গোধূলি লগ্নে দেখা হলো বিমূর্তির আচ্ছন্ন বিমোহিত আকাশ,
বুকের যন্ত্রণা পিড়ায় মলিন ব্যাকুল পরানের পরান দোলায়
খানিক অদ্ভুত বাসা বেঁধেছে জলের মতো স্বাধীন ভাবনায়।
যেখানে প্রকৃতি ভাসে নদীর নীল আঁকা ছবি
গোধূলি নামে সব প্রান্তের আশায় বুক ভরে স্মরণ করে কবি।
তবুও তোমাকে খুঁজে বেড়াই স্মৃতির আঁখিতে জল!
কোন কোন সন্ধ্যা যে ভীষণ কাতর হৃদয় নহে মোর ভাবনার বিফল।