হিন্দু আইন পরিবর্তন রোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : হিন্দু পারিবারিক আইনের পরিবর্তন রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। পাশাপাশি সংগঠনটির পক্ষ থেকে চার দফা দাবিও জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

রবিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী বলেন, ‘হিন্দু আইনের কোনও পরিবর্তন সরকার চাচ্ছে না।

কতিপয় এনজিও চাচ্ছে তাদের স্বার্থের জন্য। আমরা প্রধামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। আমাদের সমস্ত সুরক্ষা তিনিই দেবেন।’

মহাজোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কান্তি নাগ বলেন, ‘হিন্দু আইন ধর্মীয় অনুভূতির জায়গা। কিন্তু এ অনুভূতির জায়গায় আঘাত হানা হচ্ছে। যারা হিন্দু আইনের পরিবর্তন চাচ্ছে সেখানে কোনও হিন্দু নেই।

যেসব এনজিও আইন কমিশনের কাছে হিন্দু আইনের পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে কোনও হিন্দু প্রতিনিধি নেই, হিন্দু সংগঠন নেই। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকা এবং তাদের গ্রুপ হিন্দু ধর্ম ও আইন নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে।’

ইসকনের ফুড ফর লাইফের পরিচালক রূপানুগ গৌরদাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘আমরা কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর এ দর্শনের সঙ্গে একমত না যে, কেউ আমাদের একগালে চড় দিলে অন্যগাল এগিয়ে দেবো।

বরং আমাদের দিকে ইট মারলে আমাদের পাটকেল খাওয়ার শক্তি যেন আপনাদের থাকে। আমাদের মা-বোনেরা প্রতিবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

হিন্দু মহাজোটের নারী বিষয়ক সম্পাদক প্রতীভা বাকচীর সই করা এক লিখিত বক্তব্যে চারটি দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো যথাক্রমে, হিন্দু আইনের কোনও ধরনের সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা হবে না। হিন্দু আইনে কোনও ধরনের হাত দেওয়া হবে না, মর্মে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকারকে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।

অবিলম্বে শাহীন আনামসহ যেসব এনজিও হিন্দু পরিবার, সমাজ ও ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হিন্দু সমাজ ও পরিবারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

শাহীন আনাম-গংদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সরকার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে সারাদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ ও ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে কাজ না-হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, বরিশথ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, প্রকাশনা সম্পাদক সাগরিকা মণ্ডলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।