জুলহাস-তনয় হত্যা: ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু লোকনাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের কর্মী মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।


বিজ্ঞাপন

যাদের ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে তারা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), আকরাম হোসেন, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ এবং আসাদুল্লাহ। দণ্ডপ্রাপ্ত মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।


বিজ্ঞাপন

যে দুইজন খালাস পেয়েছেন তারা হলেন- সাব্বিরুল হক চৌধুরী এবং জুনাইদ আহমদ।


বিজ্ঞাপন

রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এর আগে ২৩ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে জুলহাস মান্নান ও মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ১২ মে আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম। গত বছরের ১৯ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

গত ২৩ আগস্ট মামলাটিতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। এরপর বিচারক রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।