এবার সরকারি চালের টাকা আত্মসাতে ১৬ চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে ১৬ চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুরের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গােবিন্ধগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাে. জহিরুল ইসলাম, ১নম্বর কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাে. মােশাহেদ হােসেন চৌধুরী, ২নম্বর কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাে. রেজাউল করিম (রফিক), ৩নম্বর শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. তাহাজুল ইসলাম, ৪নম্বর রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাে. আব্দুল লতিফ সরকার, ৫নম্বর সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে, শাকিল আলম, ৬নম্বর দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ র ম শরিফুল ইসলাম জজ, ৭নম্বর তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. আতিকুর রহমান আতিক, ৮নম্বর নাকাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. আব্দুল কাদের প্রধান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম, ১০ নম্বর রাখালবুরুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. শাহদাত হােসেন, ১১নম্বর ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. আব্দুল মান্নান মােল্লা, ১২নম্বর গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. শরীফ মােস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, ১৩ নম্বর কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. শরিফুল ইসলাম রতন, ১৪নম্বর কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাে. মােশারফ হােসেন, ১৫ নম্বর শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মন্ডল, ১৬ নম্বর মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, ১৭নম্বর শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হােসেন শামীম এবং গােবিন্ধগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মােছা. গােলাপী বেগম।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গাইবান্ধা জেলার গােবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার অনুকূলে জিআরের বরাদ্দ করা ৫ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন সরকারি চাল পরস্পর যােগসাজশের আত্মসাত করেন।

তারা প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাল কাগজপত্র সৃজনের মাধ্যমে কালােবাজারে প্রতি মেট্রিক টন চাল ৩৭ হাজার ৮৩৬.৪৪ টাকা হিসেবে মােট ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাত করেন।

দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযােগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট একটি মামলা রুজু করেছে কমিশন।