শতভাগ বিদ্যুৎ ৪৬১ উপজেলায়, আবাসিক খাতে ব্যবহার ৫৬ ভাগ

অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ৪৬১ উপজেলা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। যার মধ্যে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৪২ শতাংশ আবাসিক খাতে।
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৪২ শতাংশ আবাসিক খাতে, ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বাণিজ্যিক খাতে এবং ২৮ দশমিক ৪০ শতাংশ শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়েছে। চলমান শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের ফলে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম ও ইকোনমিক জোনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হলে শিল্পখাতেও বিদ্যুতের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত ১২ বছরে এই ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা বিবেচনা করে ২০২১ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খ. মমতা হেনা লাভলীর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৪৬১ উপজেলা ইতোমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। এতে করে দেশের শতকরা ৯৯ দশমিক ৫ ভাগের বেশি জনগণকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম অফগ্রিড এলাকা ছাড়া মুজিববর্ষে গ্রিড-অফগ্রিড নির্বিশেষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের নিশ্চিতকল্পে রোডম্যাপ প্রণয়নপূর্বক নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন