কোথাকার কোন পরীমনি তাকে নিয়ে এতো মাতামাতির কি আছে ? পত্র পত্রিকা গুলো আর কোন ইস্যু পায়না, কে এই পরীমনি? কোথাকার কোন পরীমনি, ফখরুল

আজকের দেশ রিপোর্ট : আলোচিত ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরীমনির ইস্যু তুলে গণমাধ্যম ও হাইকোর্টেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।

ফখরুল বলেন, মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে নানা ঘটনার অবতারণা হচ্ছে। দৃষ্টি খালি এক ইস্যু থেকে অন্য ইস্যুতে নিয়ে যাওয়া হয়, আপনারা দেখছেন আমাদের পত্র-পত্রিকাগুলোও ওই লাইনে চলে গেছে।
যেইটা ইস্যু না- কোথাকার কোন পরীমনি, ওমুক মনি- এসব নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তেছে এবং ওটাকে বড় করে হেডলাইন করে..।
পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে হাইকোর্টের অসন্তোষ প্রকাশের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তত একবার আমরা জানলাম হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কাছে জানতে চাইল, নিয়মের ব্যতিক্রম করে কেন এতবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু যখন আমাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয় নিয়ম ব্যতিক্রম করে, যখন রাজনৈতিক নেতাদেরকে অত্যাচার করা হয় রিমান্ডের মধ্য দিয়ে, সেই সম্পর্কে কিন্তু তারা কথা বলে না।
তিনি বলেন, আমরা এখন যে অবস্থাটায় বাস করছি, এটা একটা ছদ্মবেশী বাকশাল। আমাদের সাংবাদিক ভাইরা কেউ নিজেরাই লেখেন না, সেলফ সেন্সরশিপ করছেন। কেন? যদি একটা শব্দ, একটা বাক্য যদি এদিক-ওদিক হয়, তাহলে আবার তাদেরকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে জেল এবং নন-বেইল, এই একটা অবস্থা।
গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুরুল হক হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী ও জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ফখরুল বলেন, কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। করোনায় থাবায় চাকরি হারাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। সরকারের এই দিকে কোনো দৃষ্টি নেই। দেশ আজ মহাসঙ্কটে। এই সঙ্কট কোনো ব্যক্তির নয়, গোটা জাতির। দেশ আজ অস্তিত্ব বিলীন হতে চলছে। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এদেশ ক্ষয় হতে থাকবে।
তিনি বলেন, কেউ এসে আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে না। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আমরা আজও মুক্ত করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। কারণ ক্ষমতায় আছে দানবীয় সরকার।
আমরা চেষ্টা করেছিলাম ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যজোটের সমন্বয়ে দেশে পরিবর্তন আনার। কিন্তু রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করে আমাদের সে চেষ্টা সরকার ভুলণ্ঠিত করে দেয়। তাই বলে কি আমরা বসে থাকব? গণতন্ত্র, মানুষ ও দেশ বাঁচাতে দেশের তরুণ সমাজ উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এদেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয় না।
ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কয়েকদিন আগেও আমি দেখা করেছি।
তিনি একটা কথাই বলেছেন, কখনোই সাহস হারাবে না, কথনও হতাশ হবে না। মনের মধ্যে জোর রাখবে, মনোবল রাখবে, বিজয় তোমাদের হবেই।