সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ নির্বাচনী শেষ উত্তাপ?

উপ-সম্পাদকীয়/মতামত

মোঃ আনোয়ার হোসেন বেলু মৃধা: গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেস বুক)দেখলাম আমাদের বর্তমান সভাপতি জনাব সাদেকুর রহমান ৭/৮ জনের পরিচালক প্রার্থীদের নিয়ে একটি আংশিক প্যানেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় নেমেছেন,দেখে মনে মনে সাধুবাদ জানালাম শুধু উনাকে নয় প্যানেলের সবাইকে এজন্য যে কমপক্ষে তারাও গণতান্তিক পদ্বতিতে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহন করছে!
আর ২ দিন পর নতুন নাটক মন্চত !
উনি একই দিনে ২০২১-২০২৩ মেয়াদের নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছেন আর একই দিনে ঢাকা জেলা শাখার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী হইতে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কমিটির সকল কার্যক্রম স্হগিত করেছেন।
সাদেক সাহেব ৩ যুগের সময়ে একটা বিশাল পদে অধিনস্ত ছিলেন,আপনার নিজের তৈরী করা গঠনতন্ত্র বেমালুম ভুলে গেলেন?
নাকি বয়সের ভীমরতি?ভাবছিলাম আমরা অনেকেই আপনার সাথে কাজ করেছি,তাই আপনার নিয়মবহিঃভূত কর্মকান্ডের ব্যাপারে লজ্জায় ফেলব না, এখন আর ছাড় পাবেন না,চ্যালেন্জ দিয়ে আপনার ৩ যুগের অবৈধ সুবিধা নেওয়ার শ্বেতপত্র প্রকাশ করব, আইনি ব্যবস্হা নিব।
এবার নির্বাচন কমিশন বাতিল করার উনার যুক্তিটা দেখেন, উনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বেশীর ভাগ কেন্দ্রীয় পরিচালকদের টেলিফোনে মতামতের ভিত্তিতে উনি নির্বাচন কমিশন বাতিল করছেন?আরে মশায় কাকে গাধা বানান আপনি?এবার শুনুন বর্তমান ৪৩ জন পরিচালকদের মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন,৪জন স্বেচ্ছায় নির্বাচন করেনি আর ৫/৬ জনকে বাচ্চু ভাইয়ের প্যানেলে নেওয়া সম্ভব হয়নি,আর ২৯ জন বর্তমান কমিটির পরিচালক বাচ্চু ভাইয়ের প্যানেল হইতে নির্বাচন করছে,এই ২৯ জনের মধ্যে বরিশালের ২ জনের সাথে কিছুটা দূরত্ব হয়েছে যা আমরা ২/১ দিনের মধ্যেই সমাধান করব সেইভাবে উনাদের সাথে কথা হয়েছে, সাদেক সাহেব আপনি সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালক কোথায় আবিস্কার করলেন?এমনকি আমরা ৫/৬ জন বর্তমান পরিচালক যাদের আমরা নমিনেশন ইচ্ছা থাকা সত্যেও দিতে পারিনি তারাও আপনার পক্ষে নেই,আর আপনি গাজাখরি ভাবে বলে দিলেন বেশীর পরিচালক তাও আবার টেলিফোনে মতামত দিয়েছেন ,টেলিফোনের মতামত কোন ফোরামে গ্রহনযোগ্যতা পাবে?
আপনি প্রস্তুত থাকুন বর্তমান কমিটির এবস্যুল্ট মেজরিটি আপনার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আনবো,আর ৩০ বছরে যত অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন তার সুস্ঠ তদন্ত করে আপনার চরিত্র কেমিষ্টস সমাজের নিকট প্রকাশ করব।
অতএব আপনার এই অবৈধ ফরমান নিয়ে কেমিষ্টস সমাজ কোনভাবেই দুঃচিন্তায় নেই,আর নির্বাচন যথাসময়ে অর্থাৎ ১১ সেপ্টম্বরই হইবে।
মানুষ কত দুমুখো হতে পারে ,তার বড় প্রমান আপনি,যেদিন প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসাবে সফি ভাইয়ের নাম প্রস্তাব হইল খুলনার বাবলু ভাই সফি ভাইয়ের তখনকার শারীরিক অবস্হা বিবেচনা করে অন্য কাউকে করার প্রস্তাব করেছিলেন আমিও সায় দিয়েছিলাম বাবলু ভাইয়ের কথায় ,কিন্তু সেদিন আপনি সফি ভাইয়ের সাথে আলাপ না করেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাকে রাজি করাতে,সফি ভাই কোন ভাবেই রাজি হচ্ছিলেনা যার জন্য কমিশন কাজ শুরু কিছুটা বিলম্ব হয়েছে সাদেক সাহেব,আজ সফি ভাই খারাপ লোক হয়ে গেল?
নাকি আপনার মনোবাসনা সফি ভাই পূরন করেনি, এবার আসি ঢাকা জেলা শাখা স্হগিত প্রসংগে,
আপনি অভিযোগ এনেছেন ঢাকা জেলা কমিটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীসমূহ হইতে চাদাবাজি করে আসছে তাই কমিটি স্হগিত বা বাতিল!
প্রথমত আমাদের ৩৩ ধারার(ক) অনুযায়ী কমিটি গঠন এবং বিলুপ্ত শুধু কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী পরিষদ করতে পারে,সভাপতি একক ক্ষমতায় করতে পারে না,
সাদেক সাহেব আপনাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে ঢাকা জেলা শাখা আপনার এই অবৈধ সিদ্বান্ত প্রত্যাখ্যান করছে, আর আমি নিজেও ১৭ সদস্যের একজন সদস্য , কে কে এবং কোন কোন কোম্পানী চাদাবাজি করেছে, তার পছন্দের ২/৩ জনকে দিয়ে একটু তদন্তের ব্যবস্হা করালে আসল রহস্য উদঘাটন হবে,অন্যথায় সাদেক কে কঠিন বাস্তবের মুখামুখি হতে হবে, যে ঢাকা জেলা শাখা সাদেক বাতিল করার অপচেষ্টা করেছে সেটাও তার পকেট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ, কয়েকজন অনেকবার ঢাকা জেলার নির্বাচন দিতে বলা হয়েছিল ,তখন তিনি কথা শুনেননি,আর আজ তারা চাদাবাজ হয়ে গেল?
আসলে সাদেকে সবাই এখন একজন অতিলোভী এবং ক্ষমতালোভী মনে করে,যার জন্য বেশির ভাগ কেমিষ্টস তার সাথে নেই!


বিজ্ঞাপন

পরিশেষে সকল চক্রান্ত মোকাবেলা করে কেমিষ্টস সমাজ যথারিথী জনাব শাহাজালাল বাচ্চু ভাইয়ের নেতৃত্বে ১১ সেপ্টবর এর নির্বাচনে আমাদের পূর্ন প্যানেল জয়যুক্ত করার আহবান জানাই!

লেখক : বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির পরিচালক ও বৃহত্তর গুলশান থানার সভাপতি।