জোর পূর্বক চাঁদা আদায়কারী চক্রের আসামী গ্রেফতার

অপরাধ

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে পিবিআই কর্তৃক অটোরিকশা, ইজিবাইক থেকে ভুয়া সংগঠনের নামে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার হয়েছে,এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের। জানা গেছে, মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী মোঃ কামরুল (৩৫), পিতা-মোঃ মন্তাজ উদ্দিন, মাতা- মোছাঃ নাছিমা বেগম, সাং- আমবাগ উত্তর পাড়া মিতালী ক্লাব থানা-কোনাবাড়ী, জেলা-গাজীপুর মহানগর, গাজীপুরকে গত ২৯ আগস্ট স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে চ/ড মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।


বিজ্ঞাপন

আদালতের আদেশের অনুলিপি প্রাপ্ত হয়ে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ১ (এক) দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রদান করেন।

উক্ত আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মামলার ঘটনার সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ কালে সে সহ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে এবং নিজেকে মামলার ঘটনার সাথে জড়িয়ে গতকাল বুধবার ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

গত ইং ০১/১১/২০২১ তারিখ হতে উক্ত আসামী সহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীগন কোনাবাড়ী ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের পাশে জনৈক হামিদ মাষ্টারের বাড়ীতে অস্থায়ী অফিস ভাড়া নিয়ে তারা চাঁদাবাজি সহ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতো। আসামীগন কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় তিন চাকা “মালিক শ্রমিক ঐক্য কল্যান” ভূয়া সমিতির নামে পিভিসি স্টিকার যাতে “মানুষ বাঁচে আশায় দেশ বাঁচে ভালোবাসায়” গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ১০ নং ওয়ার্ড লিখা প্রত্যেক অটোরিক্সা/ইজিবাইক এর সামনে পিছনে লাগানোর শর্তে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা এবং তাদের সমিতিতে ভর্তি ফি বাবদ ২০০/- (দুইশত) টাকা হারে আদায় করতো এবং চাঁদার টাকা না দিলে অটোরিক্সা/ইজিবাইক আটক করে ভয়ভীতি দেখাতো। এসংক্রান্তে অটোরিক্সা/ইজিবাইক চালক ও মালিক পক্ষের মোঃ খোকন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় এজাহার নামীয় আসামী ১০ জন সহ অজ্ঞাত নামা আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে কোনাবাড়ী থানার মামলা নং-১৪ তারিখ ০৮/১২/২০১৯ ধারাঃ-৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলাটি কোনাবাড়ী থানা পুলিশ তদন্ত করে এজাহার নামীয় ৩ (তিন) জন আসামীর বিরুদ্ধে কোনাবাড়ী থানার অভিযোগপত্র নং-১১৮ তারিখ-০৯/০৪/২০২০ ইং ধারাঃ-৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড দাখিল করেন এবং এজাহার নামীয় ৭ (সাত) জন সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের অব্যাহতির আবেদন করেন।

আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই গাজীপুর জেলাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার , বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ওমর ফারুক মামলাটি তদন্ত করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কামরুল কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত আসামী সহ এহাজার ভুক্ত আসামী গন আমবাগ হামিদ মাষ্টারের বাড়ীতে অস্থায়ী অফিস ভাড়া নিয়ে কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় তিন চাকা “মালিক শ্রমিক ঐক্য কল্যান” ভূয়া সমিতির নামে সমিতি খোলে এবং পিভিসি স্টিকার যাতে “মানুষ বাঁচে আশায়, দেশ বাঁচে ভালোবাসায়” গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ১০ নং ওয়ার্ড লিখা, যা প্রত্যেক অটোরিক্সা/ইজিবাইক এর সামনে পিছনে লাগানোর শর্তে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা এবং তাদের সমিতিতে ভর্তি ফি বাবদ ২০০/- (দুইশত) টাকা হারে চাঁদা আদায় করতো এবং চাঁদার টাকা না দিলে অটোরিক্সা/ইজিবাইক আটক করে ভয়ভীতি দেখাতো।

উক্ত আসামী সহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামী গন প্রতিটি অটোরিক্সা/ইজিবাইক হতে দৈনিক ১০/-টাকা হারে চাঁদা আদায় করে পরে তারা ভাগাভাগি করে নিতো।

আসামী মোঃ কামরুল বিজ্ঞ আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মামলার ঘটনার বর্ণনা সহ নিজেকে জড়িয়ে এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করেছে। মামলার ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এই বিষয়ে পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কামরুল কে গত ৭ সেপ্টেম্বর ১ (এক) দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রাপ্ত হয়ে তাকে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, উক্ত আসামী সহ অন্যান্য আসামীগন কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ হামিদ মাষ্টারের বাড়ীতে অস্থায়ী অফিস ভাড়া নিয়ে কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় তিন চাকা “মালিক শ্রমিক ঐক্য কল্যান” ভূয়া সমিতির নামে সমিতি খোলে এবং পিভিসি স্টিকার যাতে “মানুষ বাঁচে আশায়, দেশ বাঁচে ভালোবাসায়” গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ১০ নং ওয়ার্ড লিখা, যা প্রত্যেক অটোরিক্সা/ইজিবাইক এর সামনে পিছনে লাগানোর শর্তে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা এবং তাদের সমিতিতে ভর্তি ফি বাবদ ২০০/- (দুইশত) টাকা হারে চাঁদা আদায় করতো। চাঁদার টাকা না দিলে অটোরিক্সা/ইজিবাইক আটক করে ভয়ভীতি দেখাতো।

উক্ত আসামীসহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীগণ প্রতিটি অটোরিক্সা/ইজিবাইক হতে দৈনিক ১০/-টাকা হারে চাঁদা আদায় করে পরে তারা বিভিন্ন ভাগে ভাগাভাগি করে নিতো।

আসামী মোঃ কামরুল আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে মামলার ঘটনার বর্ণনা সহ নিজেকে জড়িয়ে এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করেছে।