সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ৭০ হাজার ও সরিষাবাড়ী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) এর অধীন প্রায় ২৪ হাজারসহ প্রায় এক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ এর চাহিদানুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ৭০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের চাহিদা প্রায় ১৬ থেকে ১৭ মেগাওয়াট কিন্তু ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট পিক আওয়ারে সরবরাহ পাওয়া যায়। দিনে ও রাতে বিদ্যুৎ এর চাহিদানুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ১০/১৫ দিন যাবৎ ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের ফলে তীব্র তাপদাহে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কষ্টে নাভিশ্বাস । শনিবার দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহা: শিফাজ উদ্দিন জানান, বিদ্যুৎ এর চাহিদার অর্ধেক সরবরাহ পাওয়ায় আমরা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছিনা। এটি তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এ দিকে সরিষাবাড়ী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) এর অধীন প্রায় ২৪ হাজার বিভিন্ন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এতে পিক আওয়ারে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহকৃত ৪ মেগাওয়াট এবং এন গ্রীন সরিষাবাড়ী সোলার প্লান্ট লিমিটেড এর উৎপাদিত ২ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট গড় বিদ্যুৎ দিয়ে জনবল সংকটের মধ্যেও গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে বলে সরিষাবাড়ী বিউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু-বক্কর তালুকদার জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পিক আওয়ারে গ্রাহকদের চাহিদা পুরণ করা গেলেও গত কয়েকদিন যাবৎ রাত্রীকালীন জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহকৃত ২/৩ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় রাত্রিকালীন গ্রাহকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এটি সীমিত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে পৌরসভার শিমলা বাজারের বিদ্যুৎ গ্রাহক সোহেল রানা ও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সেঙ্গুয়া গ্রামের কুদরত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন পর সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ায় সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রতিদিন ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। প্রচন্ড-দাবদাহে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ না থাকলে ক্রেতারা মার্কেটে গিয়ে অস্থির হয়ে ফিরে যাচ্ছে।এ ছাড়াও বাসা-বাড়িতেও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা, নারী-শিশু ও শিক্ষার্থীরা যন্ত্রণা ভোগ করছেন। ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে সরিষাবাড়ী বাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।