দুদক এনফোর্সমেন্টের অভিযান

অপরাধ

জীবন বীমা কর্পোরেশন,কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাক্ষ্যের নিয়োগ বানিজ্য, ভুয়া বিল ভাউচারে অর্থ আত্মসাত,দোকান বরাদ্দ ও নতুন ভবন নির্মানে যথাযথ নিয়ম নীতি অনুসরণ না করা, হাসপাতালে দালাল ও কর্মকর্তা সিন্ডিকেট, লক্ষিছড়ি- সিন্ধুকছড়ি সড়ক নির্মানে অনিয়ম, উপ- সহকারী প্রকৌশলী ব্রম্মনবাড়িয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে কাজের বিল ছাড়ে ঘুষ আদায়, কর্মস্থলে মাদক সেবন,ভুমি- উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে খাজনা আদায়ে হয়রানি, জেলা প্রশাসক ভোলা, জেলা প্রশাসক কুমিল্লা, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি ময়মনসিংহ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মাদারীপুর সহ আরও কিছু বেক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে দুদক


বিজ্ঞাপন

 

বিশেষ প্রতিবেদক : দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারা দেশে আজ মোট ১০টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ (২টি অভিযান, ৮টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ) করেছে দুদক, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

জীবন বীমা কর্পোরেশন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদে নিয়ােগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযােগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সকেজা, ঢাকা-১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী-এর নেতৃত্বে সোমবার ১৩ সেপ্টেম্বর একটি অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে দুদক টিম সরজমিনে উক্ত অফিস পরিদর্শনপূর্বক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্রসহ সংক্রান্ত বেশ কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।

এ প্রসঙ্গে এমডি, পরিচালক (প্রশাসন)সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

সত্যতা উদঘাটনের জন্য এ সংক্রান্ত আরো তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক বিস্তারিত পর্যালোচনা করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ-এর বিরুদ্ধে নিয়ােগ বাণিজ্য এবং ভুয়া বিল-ভাউচার সৃজনপূর্বক কলেজ ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযােগের প্রেক্ষিতে সজেকা-কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মোঃ জাকারিয়া-এর নেতৃত্বে অপর একটি অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদক টিম সরজমিনে উক্ত কলেজ পরিদর্শন করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। কিছু অভিযোগের বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টে রিট চলমান রয়েছে, যা বর্তমানে আদাতলের এখতিয়ার ভুক্ত।

কলেজের দোকান বরাদ্দ ও নতুন ভবন নিমার্ণে যথাযথভাবে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই এর জন্য সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে যা বিশ্লেষণপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।

এছাড়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দালালদের সাথে যােগসাজশে বহির্বিভাগের টিকিট বিক্রয়ে অনিয়ম; এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লক্ষীছড়ি থেকে সিন্দুকছড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার; মাে: জিয়াউর রহমান, ফোরম্যান, এলজিইডি, বরগুনা এর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের কাজের বিল ছাড়করণে ঘুষ নেওয়া; উপ-সহকারী প্রকৌশলী, এলজিইডি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর বিরুদ্ধে কর্মস্থলে মাদক সেবন; হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাসপাতালের দুই একর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট নির্মাণ করে ব্যবসা করা; ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমির খাজনা আদায়ে হয়রানি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি রাস্তায় রিং কালভার্ট তৈরি; এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুরাতন ফেরীঘাট-মহিষেরচর ও বাহেরচর কাতলা গ্রাম পর্যন্ত কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযােগের প্রেক্ষিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি; জেলা প্রশাসক, ভােলা; জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা; নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, ময়মনসিংহ ও নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, মাদারীপুরকে উক্ত বিষয়ে পত্র প্রেরণ করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।