বাতিঘর মাশুল

উপ-সম্পাদকীয়/মতামত

মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী : The Lighthouse Act, 1927 এই আইন রহিত করে বর্তমানে বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০২০ জারী করা আছ।


বিজ্ঞাপন

উক্ত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে আগত এবং প্রত্যাগতম জাহাজ গুলো বন্দরে আগমনের জন্য জাহাজ গুলোর পথ প্রদর্শনের জন্য লাইট হাউস ও বয়া ( Buoy) স্থাপন করা হয়। এই লাইটহাউজ ও বয়া স্থাপন করেন চট্টগ্রাম / মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আবার কখনো কখনো নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর বা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহন কর্তৃপক্ষ, এই স্থাপিত লাইট হাউস ও বয়া এর জন্য আগমনী জাহাজ গুলোকে প্রতি ভয়েজে একটা নিদিষ্ট পরিমাণ কর বা মাশুল পরিশোধ করতে হয় এটি হলো বাতিঘর মাশুল, এই মাশুল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান হলো নৌবাণিজ্য দপ্তর বা Mercantile Marine Department. তবে নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের পক্ষে জাহাজ আগমনের পর কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ সোনালী ব্যাংকে এ অর্থ পরিশোধে বাধ্য করা হয়।

বাংলাদেশে আগমন ও প্রত্যাগমণের সময় জাহাজের মালিক বা এজেন্ট অথবা মাস্টার কর্তৃক বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করেন।

বাতিঘর মাশুল হলো প্রতি মেঃটন ৫ টাকা অর্থাৎ কোন জাহাজ যদি Net weight ton ৫০০০ টন হয় । তখন ঐ জাহাজ কর্তৃপক্ষকে মাশুল পরিশোধ করতে হয় ৫০০০X৫ টাকা মানে ২৫০০০ টাকা।

এই টাকা জাহাজের মালিক বা এজেন্ট অথবা মাস্টারকে এ মাশুল সোনালী ব্যাংকে জমা করেন।