চলমান পরীক্ষা : ভাবনার আছে অনেককিছু

উপ-সম্পাদকীয়/মতামত

শাহ কামাল সবুজ : দীর্ঘ লকডাউনের পর সরকার যখন সব শিক্ষার্থীদের পাশ দেখিয়ে পরবর্তী ক্লাশে উন্নীত করতে চেয়েছিলেন আমার মতে সরকারের এ সিদ্ধান্ত একদম ঠিক ছিল। কিন্তু কিছু মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের আঁতে লাগায় তারা যখন এটাকে অটো পাশ বলে আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ করেছিল এবং নতুন করে পরীক্ষার দাবী করেছিল এবং সরকার ও তাদের দাবী মেনে নিয়ে পরীক্ষা বহাল রাখল। বিষয়টা অনেকের কাছেই তখন হতাশা জনক মনে হয়েছিল। কারণ ইতোমধ্যেই কিছু,,,, বিশেষ করে মেডিকেল, প্যারামেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র যেভাবে কঠিন করা হয়েছে তাতে অনেকের মনেই ফেল করার ভয় চেপে বসেছে। অনেকেই হোষ্টেল ছেড়ে এলাকায় চলে গেছে। তাদের বক্তব্য এমনিতেই জীবন থেকে করোনার কারণে দুবছর লস। তারপর আবার ফেল করলে তিন বছরের পিছনে পরে যাবেন। তাই আদৌ তারা আর পড়ালেখা করবেন কিনা বা তাদের গার্জিয়ানরা তাদের লেখাপড়া করাবেন কিনা সে বিষয়ে তারা জটিল ভাবনায় আছেন।


বিজ্ঞাপন

আমার মতে পরীক্ষা হোক আপত্তি নেই। কিন্তু সেই পরীক্ষায় সবাইকে পাশ করাতে হবে। কেননা এই করোনা কালে এমনিতেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। গ্রাম বাংলার পিছিয়ে পড়া অসহায় পরিবারের বিশাল জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার কোনোরকম সুযোগ না পেয়ে (বিশেষ করে যারা একটা এন্ড্রয়েড ফোন কিনে অনলাইনে ও ক্লাশ করার সামর্থ ছিলনা) চলমান পরীক্ষায় যদি তারা ফেল করে তাহলে হয়তো তাদের লেখাপড়া চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। আর এর দায় নিতে হবে সরকার তথা শিক্ষা বিভাগকে।


বিজ্ঞাপন

তাই সরকারের কাছে আমার দাবী এ বিষয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নমনীয় অথবা সকল শিক্ষার্থীদের উপরের ক্লাশে উন্নীত করে তাদের ভবিষ্যৎ লেখাপড়া কিভাবে চালিয়ে নেয়া যায় সে ব্যাপারে সরকারকে একটা সুনির্দিষ্ট গঠন মূলক সিদ্ধান্ত নেয়ার বিনীত অনুরোধ করছি।