দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজট

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট বন্ধ থাকায় এবং পদ্মা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে গত দুদিন ধরেই পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস।
পূজার ছুটি শেষ হওয়ায় ভোর থেকেই ঘাটে যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ বড়তে শুরু করে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ৪ কিলোমিটার এলাকায় সৃষ্টি হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
ঘাটে আটকে থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী-চালকদের। প্রতিটি যানবাহন ঘাট এলাকায় আটকে আছে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। তবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বর্তমান ফেরির কোনো সংকট নেই। কিন্তু নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় পানির গভীরতা না থাকায় রো রো (বড়) ফেরিগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। পাশাপাশি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি সার্ভিস বন্ধের প্রভাবে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ পড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে। ফলে উভয় ঘাটে যানজট লেগেই থাকছে। নৌপথে বহরে রয়েছে ছোট-বড় ২০টি ফেরি। সব ফেরি সার্বক্ষণিক সচল রেখে ঘাটে আটকে থাকা গাড়িগুলো দ্রুত পারাপারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিসি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। বর্তমানে এই ঘাটে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট।


বিজ্ঞাপন