নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে ৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে রাজাকাররা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় কিছু মানুষের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ক্ষমতায় এসে সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম যুক্ত করলেই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হয়ে গেল বলে প্রশ্ন করেন তিনি। বলেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম যুক্ত করে মদের লাইসেন্স দিয়েছে বেগম জিয়া।
যারা ইসলামের কথা বলেন, তারা কোথায় ছিলেন ৭১ সালে? যখন এ দেশের এত মানুষকে হত্যা করা হলো, মা-বোনদের নির্যাতন করা হলো। যারা আজকে ইসলামের কথা বলে মন্দিরে ভাঙচুর করছে, তারা কোরআনের কোন আলোকে এসব কর্মকা- করছে?
পেশাদার খুনি হিসেবে বিএনপিকে অ্যাখ্যায়িত করেন তিনি। এসব খুনিরা রাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্রের উন্নতি হয় না। সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে সেই শক্তি এখন ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।
তিনি বলেন, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে সম্প্রীতির বাংলাদেশকে ধূলিসাৎ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হলে অপশক্তিকে দেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইএসআইয়ের এজেন্ট জিয়াউর রহমান ও মোস্তাকরা ১৫ আগস্টের হত্যাকা- করেছিল বলেও জানান কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের বর্বরতা এখনো থামেনি। অপশক্তিকে এখনো নির্মূল করা যায়নি। এমন বর্বরতা বিশ্বের ইতিহাসে ঘটেনি। অপশক্তিরা বিএনপি নামক দলের সঙ্গে আঁতাত করেছিল।’
সুস্থ রাজনৈতিক ধারাকে কলুষিত করছে তারা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি যেটা করছে সেটা ঠিক নয় বলেও জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।
সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হলে অপশক্তিকে দেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর সেই অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এদের কাছে দেশ বড় না। এদের কাছে পাকিস্তানের এজেন্টরা বড়।’
একই অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান বলেন, ‘পাকিস্তানের দোসররা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ডাক্তার মুরাদ হাসানকে দাবায়ে রাখার মতো এমন শক্তির পয়দা বাংলার মাটিতে হয় নেই। কেউ আমাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার এক নম্বর খুনি জিয়াউর রহমান, দুই নম্বর খুনি বেগম খালেদা জিয়া। সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের আছে। ডাক্তার মুরাদ হাসান কোনো অন্যায় কথা বলেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ক্ষমা চাইলে জাতির পিতার কাছে চাইব। বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছে ক্ষমা চাইব। আর কারো কাছে ক্ষমা চাইব না বলেও জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
জিয়াউর রহমানের কোনো স্মৃতিঘর বাংলাদেশে থাকবে না। রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে তার কথিত লাশ তুলে ফেলা হবে। ইসলামের নাম বলে ধোঁকাবাজি দেশে চলবে না। কোনো ধর্ম ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না এখানে।