দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযান

অপরাধ

খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মালামাল ক্রয়ের ঘুপচি টেন্ডারের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে পছন্দসই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ


বিজ্ঞাপন

মামুন মোল্লা, খুলনা : খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মালামাল ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি বিধি বহির্ভূতভাবে পত্রিকায় প্রকাশ না করে ঘুষের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা-এর উপসহকারী পরিচালক আল আমিন-এর নেতৃত্বে ও কোর্ট পরিদর্শক বিজন কুমার রায়ের সমন্বয়ে বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।


বিজ্ঞাপন

দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এবং অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ একেএম মনিরুল ইসলাম-এর বক্তব্য রেকর্ড করে।

তিনি দুদক টিমকে জানান যে, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনায় রক্ষিত সরকারি মেশিন ও অন্যান্য লৌহজাত মালামালের টেন্ডার ও দরদামে জন্য প্রাথমিক দরযাচাই এর প্রয়োজনে ৩৩ টি কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু কোন কমিটিই বাজার দর যাচাই করেনি।

তারা নিজেরা দর প্রস্তুতি করে প্রস্তাব করেন এবং টেন্ডার সংক্রান্ত কোন কমিটিতে তিনি ছিলেন না। উক্ত কমিটিসমূহ মালামালের জন্য ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার দর প্রস্তাব করে।

এ নিলাম সরকারি নিয়ম না মেনে শুধু নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয় কিন্তু বিধি মোতাবেক কোন সংবাদপত্রে তা প্রকাশ করা হয়নি। উক্ত নোটিশ করা হয় ঢাকার জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো হতে। খুলনা অফিস হতে শুধু প্রাথমিক দর প্রস্তাব করা হয়।

তাছাড়া নোটিশ/নিলাম প্রক্রিয়াসহ সকল প্রক্রিয়াই তাদের ঢাকা অফিস হতে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে খুলনা অফিস কিছুই জানেনা।

দুদক টিম অভিযানকালে এ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ ও পরীক্ষা করেছে। উক্ত অভিযানে প্রাপ্ত ও সরবরাহকৃত সকল তথ্য-প্রমাণ বিস্তারিত যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য কমিশন বরাবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪ টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।