নিজস্ব প্রতিবেদক : চানাচুর, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ড্রাই ফুডে ব্যবহার হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর উপাদান। না জেনেই এসব খাবার খেয়ে হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকিতে দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ। তাই ক্ষতিকর খাবারের দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততা বাড়ায় মানুষের জীবনযাত্রার এসেছে পরিবর্তন। ঘরে তৈরি খাবারের পরিবর্তে নির্ভর করতে হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি বিভিন্ন খাবারের উপর।
শিল্পোৎপাদিত এসব খাবারে কি ব্যবহৃত হচ্ছে এ নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউ-েশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। ৮ বিভাগ থেকে সংগ্রহিত নমুুনা পরীক্ষা করে এসব খাবারে গ্রহণযোগ্য মাত্রারও কয়েক গুণ বেশি ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে।
খাবারে স্বাদ বাড়াতে ও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের চিন্তা থেকে প্রক্রিয়াজাত সব খাবারে ব্যবহার হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্ষতিকর লবন। এসব উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত বলছেন চিকিৎসকরা।
খাবারে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হওয়ায় দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
খাদ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট,অতিরিক্ত লবন ও ট্রান্সফ্যাটের আধিক্য কমিয়ে আনতে বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।